কথা বলে স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা পুলিশের। — নিজস্ব চিত্র।
স্কুলে যাওয়ার পথে ভ্যানে ধাক্কা ১২ চাকার লরির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু আইসিডিএস শিক্ষিকার। ভ্যান চালককেও বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
সকালে ভ্যানে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন এক আইসিডিএস শিক্ষিকা। দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ রোডের উপর একটি ১২ চাকার লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ধাক্কা মারে ভ্যানে। শিক্ষিকা ভ্যান থেকে ছিটকে পড়েন লরির চাকার তলায়। সেখানেই পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনায় ভ্যান চালকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দেখা পাওয়া যায় না। এ দিকে পাথরবোঝাই লরিগুলি প্রবল গতিতে চলাচল করে। এর ফলে জনবহুল এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়েছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা সকালেই দেখলাম ভ্যানে কী ভাবে ধাক্কা মারল ১২ চাকার বিশাল লরিটি। এখানে বাম্পার দেওয়ার দাবিতে এবং যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ম মানার দাবিতে আমরা পথ অবরোধ করেছি। জানি, অনেক মানুষের এতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাফিক আইন মানার প্রবণতা তৈরি না হলে এ রকম দুর্ঘটনা আরও ঘটবে। এখানে রাস্তায় বাম্পার লাগাতে হবে।’’
দত্তপুকুর থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, এখনই রাস্তায় গার্ডরেল লাগাতে হবে। পাহারায় মোতায়েন করতে হবে সিভিক পুলিশ। এ জন্য গণসাক্ষর অভিযানও শুরু করেছেন স্থানীয়রা। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলার পর বারাসতের এসডিপিও-র আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।