নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের রেশন বণ্টন ব্যবস্থাকে মসৃণ রাখতে চায় খাদ্যর দফতর। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের কাজে যেতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও আধিকারিকদের। সব দফতরের কর্মচারী ও আধিকারিকদের সেই কাজে নিয়োগ করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কিন্তু খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশকে যাতে সেই কাজে নিয়োগ না করা হয়, সে বিষয়েও উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কারণ, নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের রেশন বণ্টন ব্যবস্থাকে মসৃণ রাখতে চায় খাদ্যর দফতর। সঙ্গে রাজ্য সরকারের ধান কেনার বিষয়টিও অব্যাহত রাখতে চায় তারা। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও বাছাই করা সরকারি কর্মচারীদের ভোটের কাজে ছাড়তে নারাজ খাদ্য দফতর, এমনটাই সূত্রের খবর। তাই খাদ্য দফতরের তরফে এ বিষয়ে এখন থেকেই জেলা আধিকারিকদের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
বিশেষ করে, রেশন ব্যবস্থা এবং ধান ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত অফিসার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের ভোটের কাজে যুক্ত না করার বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি জেলাভিত্তিক ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেছিলেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকেই রেশন এবং ধান ক্রয় নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, খাদ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা দেখা দিলে ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত।
জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে ‘পারচেজ়’ এবং ‘ডিসবার্সিং’ আধিকারিকদের ভোটের কাজ থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এক আধিকারিকের কথায়, “নির্বাচন পর্বেও সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় এবং রেশন ব্যবস্থা মসৃণ ভাবে চালাতে তৎপর রাজ্য খাদ্য দফতর। তাই জেলাভিত্তিক খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, লোকসভা ভোটপর্বে খাদ্যের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও বাছাই করা সরকারি কর্মচারীদের ভোটের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।”
এই কাজে আগেভাগে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে জেলা স্তরের আধিকারিকদের কথা বলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কেন ওই আধিকারিকদের ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না, তা যেন নির্বাচন কমিশনের কাছে স্পষ্ট হয়। আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে। তাই এত দীর্ঘ সময়ের জন্য রেশন বণ্টন ও ধান কেনার কাজে কোনও অন্তরায় তৈরি হোক, চাইছে না রাজ্য খাদ্য দফতর।