ডেবরার সভায় দেব। —নিজস্ব চিত্র।
এর আগে নারায়ণগড়ের জনসভায় বলেছিলেন। ডেবরায় ভোটপ্রচারে এসেও একই কথা বললেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলকে হারাতে পারে তৃণমূলই। ধারেকাছে আর কোনও দল নেই।’’ এমনকি, নেতা এবং কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে ডেবরা থেকে কেশপুরের চেয়ে বেশি ‘লিড’ পাবেন বলেও দাবি করলেন আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।
শুক্রবার ডেবরা বাজার থেকে ডেবরা অডিটোরিয়াম হল পর্যন্ত ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী দেবের সমর্থনে রোড-শো হয়। সেই কর্মসূচি শেষে ডেবরা অডিটোরিয়াম হলে একটি সভার আয়োজন করে ডেবরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেব বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই।’’
দেবের এই মন্তব্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেরও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বস্তুত, গত কয়েক মাসে বার বার ঘাটাল লোকসভার বেশ কিছু জায়গায় ক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে সমস্যা মেটাতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করছে তৃণমূল। সভায় দেব বলেন, ‘‘সবাই নেতা হতে চান। কিন্তু একটা জিনিস বুঝেছি। বড় জিনিস হল সম্মান। কর্মীরা সম্মান চান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা যা যা বলবেন, আমি তাই তাই করব।’’
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কেশপুর থেকে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ভোটের ‘লিড’ পেয়েছিলেন। ২০১৯-এ ‘লিড’ হয় ৯২ হাজারের। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী আশাবাদী, কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে তিনি কেশপুরের থেকে ডেবরা থেকে বেশি ‘লিড’ পাবেন।
দেবের কথায়, ‘‘২০১৯ সালের অভিজ্ঞতা ভাল ছিল। আমি ভোট শিখেছিলাম। কেউ বলেছিলেন ৩০ হাজার লিড হবে। কেউ বলেছিলেন ৪০, কেউ বলেছিলেন ৫০ হাজার লিড হবে। ২০২৪ সালে এসে আমি একটি জিনিস শিখলাম...। ২০১৪-এ লোকসভা, ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় পার্টির হয়ে নানা জায়গায় ঘুরেছি। ২০২১ সালেও তাই করেছি। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছে, তৃণমূলের সংগঠন সবচেয়ে শক্তিশালী। আমাদের ধারেকাছে কেউ নেই। আমার মনে হয়, তৃণমূলকে অন্য কোনও দল হারাতে পারবে না। তৃণমূলকে হারাতে পারে শুধুমাত্র তৃণমূল।’’ দেবকে এ-ও বলতে শোনা যায়, ‘‘২০১৯ সালে কী হয়েছে, সেটা অতীত। তবে কর্মীরা যদি সংঘবদ্ধ হন ডেবরা যা লিড দেবে, তা কেশপুরকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। আমরা সমস্ত অভিমান ভুলে গিয়ে এক হতে পারি। তবেই সেটা সম্ভব।’’