—প্রতীকী চিত্র।
কাঠকলের পিছনে আচমকা বিস্ফোরণ! ধোঁয়ায় ঢেকে গেল গোটা এলাকা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, বৈদ্যুতিক গোলযোগে ট্রান্সফর্মার ফেটে ওই শব্দ। কিন্তু, কিছু ক্ষণ বাদে আবার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। পর পর বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, লুকোনো বোমা গরমের মধ্যে ফেটে গিয়েই এই শব্দের উৎপত্তি। মঙ্গলবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানা এলাকার নাজিরপুর পশ্চিমপাড়ায় একটি কাঠকলের পিছনে বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের কোনও খবর অবশ্য নেই। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। বুধবার ঘটনাস্থল সরজমিনে খতিয়ে দেখতে যান তদন্তকারীরা। আরও বোমা মজুত রয়েছে কি না, খুঁজে দেখতে কাজে লাগানো হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে।
ভোটের দোরগোড়ায় এই বিস্ফোরণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের সময় সন্ত্রাস করতেই বোমা মজুত করেছিল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পাল্টা কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী’ এলাকার ভোটারদের ভয় দেখাতেই বিস্ফোরক মজুত করে রেখেছে যত্রতত্র। তারা রেজিনগরের বিধায়ককে কাঠগড়ায় তুলেছে। রেজিনগর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মিন্টু সিংহের অভিযোগ, ‘‘কাঠকলের পিছনে রেজিনগর বিধানসভার বিধায়কের লোকজন বোমা রেখেছিল। সেই বোমাই রোদের তাপে ফেটে গিয়েছে।’’ তবে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান নিয়ামত শেখের অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে এলাকার সন্ত্রস্ত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা প্রভাবিত করতে বোমা মজুত করছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’
তদন্তে নেমে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন রকমের বোমা। অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য ‘মজুত’ করা বোমা ফাটছে। রেজিনগরের ঘটনাও তেমনই একটা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার চক্ররামপ্রসাদ এলাকা থেকে ব্যাগভর্তি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার তল্লাশি চালিয়ে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে ওই বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার করে।