বাবা লালুর সঙ্গের কন্যা রোহিণী (ছবিতে ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবকে কিডনি দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন কন্যা রোহিণী আচার্য। সেই রোহিণীকেই লোকসভা ভোটের টিকিট দিতে চলেছে লালুর দল রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। লোকসভা ভোটে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিলই। অবশেষে আরজেডির তরফে সেই জল্পনায় সিলমোহর দেওয়া হল। এখনও প্রার্থী হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করা না হলেও কোন কেন্দ্র থেকে রোহিণী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আরজেডি।
সব কিছু ঠিক থাকলে বিহারের সারণ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন রোহিণী। এক সময় এই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়তেন লালু। রোহিণীকে নিয়ে লালুর মোট চার সন্তান সক্রিয় রাজনীতিতে এলেন। লালুর আর এক কন্যা মিসা ভারতী দু’বারের রাজ্যসভার সাংসদ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের পাটলিপুত্র কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন তিনি। লালুর দুই পুত্রের মধ্যে তেজস্বী যাদব বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী, অধুনা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আর এক পুত্র তেজপ্রতাপ যাদব বিধায়ক।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে লালুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়। কিডনি দেন রোহিণী। তার পর একাধিক দলীয় সভায় মেয়ের প্রশংসা করেন লালু। গত ৩ মার্চ পটনার গান্ধী ময়দানে আরজেডির ‘জনবিশ্বাস মহাযাত্রা’ কর্মসূচিতে উপস্থিত দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে মেয়ে রোহিণীর পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।
রোহিণীর নামকরণ নিয়েও আরজেডির অন্দরে একটি কাহিনি শোনা যায়। ১৯৭৯ সালে হিন্দু পঞ্জিকা মোতাবেক রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন লালুর এই কন্যা। তার পরই লালু মেয়ের নাম রাখেন রোহিণী। পটনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কমলা আচার্য লালুর কাছে টাকা নিতে রাজি হননি। পরিবর্তে নিজের পদবি রোহিণীর নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার আর্জি জানান। চিকিৎসকের সেই আবদার ফেরাননি লালু। মেয়ের নাম রাখেন রোহিণী আচার্য। এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও কোনও দিনই চিকিৎসাকে পেশা হিসাবে নেননি লালুর এই কন্যা। সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর সঙ্গে প্রথমে আমেরিকা, পরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। রোহিণীর দুই সন্তান রয়েছে।