মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এমন দুর্যোগের জেরে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল। রবিবার দুপুরে হরিনাভি থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন হয়ে রাজপুর বাজার পর্যন্ত যাদবপুর লোকসভা এলাকায় মিছিল করার কথা ছিল তৃণমূলনেত্রীর। সঙ্গে আরও দুটি জনসভারও কর্মসূচি রাখা হয়েছিল সপ্তম দফা ভোটের আগের শেষ রবিবারে। কিন্তু শুক্রবার থেকেই রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস মিলেছিল। তাই রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের প্রচার নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কা সত্যি করে একের পর এক প্রচার কর্মসূচি বাতিল হতে থাকে সব প্রার্থীর। সেই পর্যায়েই তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে আয়োজিত মিছিলটি বাতিল করলেন মমতা।
তবে মমতার পূর্বঘোষিত দুটি জনসভা হবে বলেই জানিয়েছে তৃণমূলের একটি সূত্র। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার সোনারপুর ইউনিয়ন স্পোর্টিংয়ের ময়দানে জনসভা করবেন মমতা। এর পরে যাদবপুর এলাকার বারো ভূতের মাঠে আরও একটি জনসভা করবেন তিনি। তবে সন্ধ্যা থেকে দুর্যোগের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত বাদুড়িয়াতে জনসভার কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাদুড়িয়া বিধানসভা এলাকায় অভিষেকের এই প্রচার কর্মসূচিতে তাঁকে সড়কপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবার বিকেলে মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্রে একটি রোড-শো করার কথা অভিষেকের। আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে রোড-শো বাতিলের কথা জানিয়েছে অভিষেকের দফতর। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে অন্য কেন্দ্রে প্রচারের কারণে নিজের লোকসভার ভোটের প্রচারে খুব বেশি সময় দিতে পারেননি অভিষেক। তাই তাঁর কাছে ভোটের আগে শেষ রবিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বসিরহাট লোকসভার সন্দেশখালিতে আবার কর্মসূচি ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সেটিও বাতিল হয়েছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রচার ছিল মথুরাপুর লোকসভা এলাকায়। সেখানে পৃথক তিনটি জনসভার কর্মসূচি ছিল তাঁর। পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ এবং মন্দিরবাজার এলাকায় তাঁর জনসভার প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়ে রাজ্য বিজেপির দফতর থেকে জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রচারসভায় যোগ দিতে পারছেন না বিরোধী দলনেতা।