মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
ধর্নামঞ্চ থেকেও বাংলায় একলা চলার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘আত্মবিশ্বাসী’ দাবি, বাংলায় জোটের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। যে সমস্যা রয়েছে, শীঘ্রই তার সমাধান হবে। যদিও রাহুলের আশা যে নিতান্তই ‘অলীক ভাবনা’, তার প্রমাণ মিলেছে মমতার ধর্না মঞ্চ থেকেই। রাহুলকে সেখানে নাম না করে আক্রমণ করেছেন মমতা। এমনকি, ‘বাংলায় এসে ফটোশ্যুট করছে’ বলে কটাক্ষও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। যার লক্ষ্য আদতে রাহুল বলেই মনে করছেন সকলে।
শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন রাহুল। বাংলায় তিনি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করতে এসেছেন। রাহুল জানিয়েছেন, এই ভিডিয়ো সেই যাত্রাপথেরই একটি পর্বে তোলা। যেখানে কয়েকজন অল্পবয়সি তরুণ-তরুণীরা কিছু প্রশ্ন করেছিলেন তাঁকে। সেই প্রশ্নের জবাবেই রাহুলকে বাংলায় জোট প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বাংলায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যত নিয়ে। উত্তরে রাহুলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘জোট নেই এ কথা আমরাও বলছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলছেন না। জোট নিয়ে কথাবার্তা এবং আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এর সমাধানও হবে।’’
তবে রাহুল এ কথা বললেও শুক্রবার তৃণমূলনেত্রী মমতা তাঁর ধর্নামঞ্চ থেকে নিরন্তর কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। গত কয়েক দিন ধরে জোট নিয়ে যে কথা তিনি বার বার বলেছেন, সে কথাই আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় আমার জোটের দরকার নেই।’’
প্রসঙ্গত, জোট প্রসঙ্গে মমতা আগেও জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে সমস্যার কথা। মমতা বলেছিলেন, ‘‘আমি ওদের দুটো আসন ছাড়ব বলেছিলাম মালদহে। এ-ও বলেছিলাম আমরাই জিততে সাহায্য করব। কিন্তু ওদের তাতে হবে না। ওদের আরও আসন চাই।’’ এর পরেই মমতা স্পষ্ট করে আবার জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলায় একাই লড়বে তৃণমূল।
অন্য দিকে, রাহুল মমতার ‘একলা চলো’ বার্তা পাওয়ার পরেও বাংলায় জোটের বিষয়ে আশাবাদী। যদিও শুক্রবার এই পোস্ট যখন এক্স হ্যান্ডলে করেছেন রাহুল তখনও ধর্নামঞ্চে কংগ্রেস নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মমতা। দুপুরে রাহুল ওই পোস্ট করেন। বিকেলে মমতা আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। ফলে এর পরে বাংলায় জোট-ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে দিকেই তাকিয়ে রাজনীতির কারবারিরা।