Lok Sabha Election 2024

‘পাহাড় সমস্যার সমাধান’ নেই বিজেপির ইস্তাহারেও

লোকসভা ভোটে পাহাড় সমস্যার সমাধান, ১১ জনজাতির স্বীকৃতি-সহ গোর্খাদের নিয়ে ইস্তাহারে কিছুই বলল না তারা, যা নিয়ে পাহাড় জুড়ে শুরু আলোচনা।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

কংগ্রেস পরে এ বার বিজেপি। লোকসভা ভোটে পাহাড় সমস্যার সমাধান, ১১ জনজাতির স্বীকৃতি-সহ গোর্খাদের নিয়ে ইস্তাহারে কিছুই বলল না তারা, যা নিয়ে পাহাড় জুড়ে শুরু আলোচনা। বিশেষ করে, গত কয়েক বার সংকল্পপত্রে আশ্বাসের কথা রেখেও এ বার বিজেপিও কেন চুপ তা নিয়ে সরব বিরোধীরা। তা হলে পাহাড় সমস্যা কি আদৌ মেটার নয়? ভোটের মুখে আলোচনা শুরু হয়েছে পাহাড় জুড়ে। বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতারা নানা কথা বলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেও, দুই দলের বিরোধীরা এই প্রশ্নে সুর চড়িয়েছে।

Advertisement

সোমবার শিলিগুড়িতে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বিজেপি গোর্খাদের জন্য তাদের দাবি খতিয়ে দেখছে। সে দিশায় কয়েক দফায় চর্চা হয়েছে। কথাবার্তা এগিয়েছে। কেউ সমাধান করতে পারলে, তা নরেন্দ্র মোদীই করবেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মোদীজির উত্তরবঙ্গে বিশেষ নজর রয়েছে। স্থানীয় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুত নির্ণয় হবে।’’

প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রধান অনীত থাপা বলেছেন, ‘‘বিজেপি কী করছে, তা ১৫ বছরে পরিষ্কার। কেন্দ্রের সব দল আশ্বাসই দিয়েছে। এ বার তো দিল্লির কারও ইস্তাহারে কিছু নেই। আঞ্চলিক দলগুলিকে শেষ করার চক্রান্ত চলছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সতর্ক করছি।’’

Advertisement

সম্প্রতি প্রথমে কংগ্রেস, তার পরে বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশিত হয়েছে। কংগ্রেসের ইস্তাহারেও ছোট ছোট আঞ্চলিক স্তরের দাবিগুলি খতিয়ে দেখার কথা দু’লাইন রয়েছে। তবে সেখানে দার্জিলিং বা গোর্খাদের কোনও নাম নেই। বিজেপির এ বার অবশ্য গোর্খাদের নিয়ে কিছুই বলেনি। কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাং বলেছেন, ‘‘বিজেপি দার্জিলিং নিয়ে কী চায়, তা পরিষ্কার করে দিল। ওরা কোনও দিনই পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে ভাবেনি। আগামী দিনেও ভাববে না।’’ তিনি জানান, কংগ্রেস আলোচনার জায়গাটা রেখেছে। ভুললে হবে না, পার্বত্য পরিষদ, জিটিএ কংগ্রেসই দিয়েছে।

তবে পাহাড়ের সাধারণ বিজেপি, কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ধন্দ বেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পাহাড় নিয়ে দেশের দুই প্রধান দলের বক্তব্য ইস্তাহারে সামনে এসেছে। সেখানে এ বার কিছু বলা না থাকায়, পাহাড় নিয়ে দিল্লির বক্তব্য পরিষ্কার। ২০০৯ সালে বিজেপি পাহাড়ের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেয়। পাঁচ বছর পরে ২০১৪ সালে, মূল বিজেপির ইস্তাহারে দার্জিলিঙের কিছুই ছিল না। পরে, সঙ্গী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার চাপে পাহাড়ের দাবিদাওয়াকে আলাদা করে রাখা হয়।

এর পরে, ২০১৯ সাল। পাহাড়ের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান থেকে ১১ জনজাতির দাবি মেটানোর আশ্বাস বিজেপি দিয়েছিল। সেখানে কংগ্রেসও সরাসরি বা আলাদা না হলেও দেশের বিভিন্ন জনজাতির দাবি নিয়ে আলোচনার পক্ষপাতী বলে দাবি করে যায়। এ বার দু’পক্ষই দার্জিলিংকে বাদ দেওয়ায় পাহাড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।

তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা বলেছেন, ‘‘বিজেপি ১৫ বছর ধরে কাজ চালাচ্ছে। তা হল ভোটে জিতে সাংসদ তৈরির।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement