প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ভোট মরসুমে কে কত চড় হজম করল, তা নিয়ে তরজায় নামল বিজেপি-কংগ্রেস!
গত কাল ইভিএম ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ভোট ও ভিভিপ্যাটে জমা হওয়া স্লিপ পুনর্মূল্যায়নের দাবি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অতীতের ব্যালট প্রথায় ফিরে যাওয়ার আবেদন বাতিল করে দিয়ে শীর্ষ আদালত ভরসা রাখে বর্তমান ইভিএম ব্যবস্থায়। দীর্ঘ সময় ধরে যে হেতু বিরোধীরা ইভিএম ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব, তাই আদালতের রায়ের পরে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। গত কাল মোদী আদালতের ওই রায়কে বিরোধীদের গালে ‘বড় মাপের থাপ্পড়’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবস্থা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় বিরোধীদের উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
গত কাল আদালতের রায় আসার পর থেকেই তা থেকে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ভোট মরসুমে পরাজিতের তকমা যাতে না এঁটে বসে, তার জন্য গোড়া থেকেই সতর্ক ছিল কংগ্রেস। আজ ফের আদালতের ওই রায় থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘কংগ্রেস ইভিএম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। তবে ভোটের পরে আরও বেশি করে ইভিএম ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ভোট ও ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে দেখার সংখ্যা যাতে বাড়ে, সেই দাবিতে কংগ্রেস সরব রয়েছে।’’ নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, সংশয় দূর করতে বর্তমানে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও পাঁচটি ইভিএম ও সংশ্লিষ্ট ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখা হয়ে থাকে। কংগ্রেসের দাবি, পাঁচটির পরিবর্তে আরও বেশি সংখ্যায় ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে দেখা হোক।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর থাপ্পড় মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি জয়রাম। সমাজমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, ‘‘দিন কয়েক আগেই নির্বাচনী বন্ডকে কেবল বৈআইনি ঘোষণা করা নয়, অসংবিধানিক বলে মন্তব্য করে মোদীর গালে কড়া থাপ্পড় মেরেছিল সুপ্রিম কোর্ট।’’ জয়রাম রমেশের মতে, ক্ষমা যদি কারও চাওয়া উচিত হয়, তা হলে সেই ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জয়রামের কথায়, ‘‘যে ভাবে চার পদ্ধতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দল ৮২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। ওই চার রাস্তা হল- অনুদান দিয়ে প্রকল্প পাওয়া, ঘুষ দিয়ে সরকারি বরাত নিশ্চিত করা, তোলাবাজি ও ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ।’’