গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ভোটারদের উদ্দেশে রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি দানের রেওয়াজকে আটকানোর আবেদনের শুনানি আবার শুরু হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লোকসভা ভোটের প্রক্রিয়া শুরুর মাঝেই।
সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আর্জি জানানো হয়েছিল, ভোটের প্রচারে কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে বিনামূল্যে পণ্য ও পরিষেবা দানের প্রতিশ্রুতি নিষিদ্ধ করা হোক। কোনও দল সেই রাস্তায় হাঁটলে নির্বাচন কমিশন যাতে সংশ্লিষ্ট দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে, সে বিষয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল ওই মামলায়।
২০২২ সালের অগস্টে সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, ভোটপ্রচারে নিখরচায় সুবিধা বিলি একটি গুরুতর সমস্যা। এমন ঘটনা জাতীয় অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এ ব্যাপারে কোনও রায় দেওয়ার আগে নতুন বেঞ্চ গঠন করে বিস্তৃত শুনানির প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন বেঞ্চে জনস্বার্থ আবেদনের পরবর্তী শুনানি পর্ব।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের একটি বেঞ্চ বুধবার মামলার আবেদনকারী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আইনজীবী বিজয় হংসরিয়াকে বলেছেন, ‘‘বিষয়টি গুরুতর। বৃহস্পতিবার থেকে আমরা মামলার শুনানি শুরু করব।’’ প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খয়রাতি নিয়ে সরব হওয়ার পরেই নির্বাচন কমিশন একই সুরে প্রস্তাব দিয়েছিল, ভোটের আগে কোনও রাজনৈতিক দল খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিলে, তাতে কত খরচ হবে সেটাও জানাতে হবে।
অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি, এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকের মতো দল গোড়া থেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য— জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিকে খয়রাতি বলা যায় না। বুধবার সুপ্রি ম কোর্টও তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি দানকে আটকানো যায় না। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিল, খয়রাতি কাকে বলে? নিখরচায় শিক্ষা বা প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতিকে কি খয়রাতি বলা চলে? এ বিষয়ে বিতর্ক এবং আলোচনা প্রয়োজন।