Lok Sabha Election 2024

হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদ মেলালেন তিনি হৃষীকেশে, পুলওয়ামা স্মরণ করিয়ে কংগ্রেসকে তোপ মোদীর

কংগ্রেসকে নিশানা করে তাঁর অভিযোগ, উত্তরাখণ্ডের মানুষ কংগ্রেসকে যোগ্য জবাব দেবেন। এখানকার মা ধারী দেবী এবং জলপা দেবীর প্রতীক শক্তিকে রাজ্যের থেকে মুছে ফেলেছিল কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:১৭
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

হিন্দুত্ব এবং জাতীয়তাবাদকে মেলালেন তিনি হৃষীকেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে। আজ উত্তরাখণ্ডে প্রচারসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য, “যখনই দেশে কোনও দুর্বল সরকার এসেছে, আমাদের শত্রুরা তার সুযোগ নিয়েছে। আমাদের শক্তিশালী সরকার আসার পর ঘরে ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের খতম করা হয়।” কংগ্রেসকে নিশানা করে তাঁর অভিযোগ, উত্তরাখণ্ডের মানুষ কংগ্রেসকে যোগ্য জবাব দেবেন। এখানকার মা ধারী দেবী এবং জলপা দেবীর প্রতীক শক্তিকে রাজ্যের থেকে মুছে ফেলেছিল কংগ্রেস।

Advertisement

২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার স্মৃতিকে এ দিন ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন মোদী। বলেছেন, “বিরোধীরা বলেছিল ভারত পাকিস্তানে বিমান অভিযান করেছিল রাজনৈতিক লাভের জন্য। আমরা যখন সার্জিকাল স্ট্রাইক করি তখন কি কোনও ভোট ছিল? আমাদের এটাই সিদ্ধান্ত ছিল, ওদের ঘরে ঢুকে মারার।” যদিও ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকেই লোকসভা ভোট হয়েছিল সাত দফায়। এর পরেই কংগ্রেস জমানার কথা তুলে মোদীর বক্তব্য, “কংগ্রেস সরকারের সময়ে সেনাদের নিরাপত্তার সরঞ্জাম ছিল না। যেমন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। শত্রুর গুলির সামনে তাঁদের ঠেলে দেওয়া হত সে ভাবেই। বিজেপি এসে সেনার সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়। ভারতের তৈরি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হয়। এই সরকারের কল্যাণেই ভারতে আধুনিক রাইফেল, যুদ্ধ বিমান, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার তৈরি হচ্ছে। দুর্বল কংগ্রেস সরকার যা পারেনি,বিজেপি তা করে দেখিয়েছে।”

তবে উত্তরাখণ্ডে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে সামনে রেখে ‘যুদ্ধং দেহি’ বার্তা দিলেও, আমেরিকার একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী চিনের সঙ্গে শান্তির প্রস্তাবই পাঠিয়েছেন। বলেছেন, “এটা আমার বিশ্বাস, আমাদের অবিলম্বে সীমান্ত সংক্রান্ত জটের দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা করা উচিত। তার ফলে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিলতা কাটিয়ে ওঠা যাবে। চিন এবং ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক শুধু আমাদের জন্যই নয়, গোটা অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্যও জরুরি।”

Advertisement

ভোটের মুখে বিদেশি পত্রিকায় রামকে নিয়ে বিশদ হয়েছেন মোদী। বলেছেন, “রামের জীবন আমাদের সভ্যতার রূপরেখা তৈরি করেছে। তাই ১১ দিনের বিশেষ আচার পালন করে আমি সেই সব জায়গায় গিয়েছি, যেখানে রাম গিয়েছিলেন।’’ রামমন্দির নির্মাণ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “রামকে তাঁর জন্মস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারা দেশের ঐক্যের প্রশ্নে ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমায় যখন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলা হল, জানতাম যে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছি। যে দেশবাসী শতকের পর শতক ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন রামলালা-র প্রত্যাবর্তনের জন্য।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement