PM Narendra Modi

মোদীর শিলান্যাস, অসমে ২৭ হাজার কোটি টাটার

মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকায় গুজরাতের ধোলেরা ও সানন্দ এবং অসমের মরিগাঁও জেলায় তৈরি হচ্ছে ওই তিনটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৬:০৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ বিনিয়োগে এক যোগে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার বললেন— ১৯৬২ সালে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ২০২৪ সালে এসে তার বাস্তবায়ন হল।

Advertisement

মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকায় গুজরাতের ধোলেরা ও সানন্দ এবং অসমের মরিগাঁও জেলায় তৈরি হচ্ছে ওই তিনটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানা। এর মধ্যে অসমের কারখানা তৈরিতে ২৭ হাজার কোটির বিনিয়োগ করছে টাটা, রাজ্যে শিল্প নিয়োগের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। ধোলেরায় তাইওয়ানের সংস্থার সহায়তায় তৈরি এআই পরিচালিত সেমিকন্ডাক্টর কারাখায় বিনিয়োগ হয়েছে ৯১ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য অসমের কারখানা থেকেই সবে চেয়ে বেশি, দিনে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ সেমিকন্ডাক্টর তৈরি হবে। সেখানে ১৫ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ নিযুক্তি ও আরও ১৫ হাজারের পরোক্ষ রোজগারের ব্যবস্থা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তাঁর দাবি, এক বছরের মধ্যে শুরু হবে উৎপাদন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন প্রমুখ। দেশের ৬০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান লাইভ দেখানো হয়।

মোদী বলেন, ১৯৬২ সালে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা খোলার চিন্তা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস হাজার হাজার কোটির কেলেঙ্কারি করলেও, বিনিয়োগ করে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির কথা ভাবেনি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সেমিকন্ডাক্টর চিপ আত্মনির্ভর ভারতের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে ভারত। শুধু এই বছরেই ১২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে দেশে। মোদী বলেন, এই শিল্পযজ্ঞে সব চেয়ে বড় অভিনন্দন অসমের প্রাপ্য। অসমকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত করাই ‘মোদীর গ্যারান্টি’।

Advertisement

হিমন্তের কথায়, “আমি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মুম্বইয়ে চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে দেখা করে কাজিরাঙায় একটা পাঁচতারা হোটেলের আর্জি জানিয়েছিলাম। তিনি তখন বলেছিলেন হোটেল এমনিই হবে, আমরা অসমে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ার কথা ভাবছি। পরে আমি সেই কথা সামাজিক মাধ্যমে জানালে বিরোধী রাজনৈতিক দলের তাবড় নেতা প্রকাশ্যে আমায় উপহাস করেছিলেন। সেই অসম্ভব আজ সম্ভব হল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement