প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
কনৌজ থেকে গত কাল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী আওয়াজ তুলেছিলেন, আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি আটকে যাবে দু’শো আসনের নীচে। রাহুলের সেই খোঁচার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ ফের তাঁর ‘চারশো পারের’ স্লোগানকে ফিরিয়ে আনলেন ওড়িশার জনসভায়। সেই সঙ্গে তাঁর পাল্টা ভবিষ্যদ্বাণী, কংগ্রেসের আসন নেমে যাবে পঞ্চাশেরও নীচে। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা হারাবে তারা।
গত কাল ভুবনেশ্বরে পদযাত্রা করার পর আজ তিনটি জনসভা করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের শাহজাদার ২০১৪ আর ২০১৯ সালের বক্তৃতা দেখুন আর চব্বিশের লোকসভা ভোটের বক্তৃতাও শুনুন। দেখবেন, তিনি একই চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি করছেন। আমি তাঁকে এবং কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনারাও লিখে রাখুন, ভারত তার মন তৈরি করে ফেলেছে। এনডিএ চারশোরও বেশি সাংসদ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। বিজেপি নিজের সব পুরনো রেকর্ড ভেঙে আরও বেশি সাংসদ নিয়ে আসবে।’’ মোদী বলেন, ‘‘লোকসভায় মোট আসনের দশ শতাংশ প্রয়োজন প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জন্য। আপনারা শুনে রাখুন— পরে মিলিয়ে নেবেন, ৪ জুনের পরে কংগ্রেসের আসন পঞ্চাশেরও নীচে নেমে যাবে।”
রাহুল গান্ধীও আজ পাল্টা বলেছেন, “মহারাষ্ট্র হোক বা উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা কিংবা বিহার, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র ঝড় বইছে সর্বত্র। আমি আবারও বলছি, ৪ জুনের পর মোদী আর দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না।’’ মহারাষ্ট্র থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীরও মন্তব্য, “মহারাষ্ট্রের বার্তা স্পষ্ট, ইন্ডিয়া-র সরকার তৈরি হতে চলেছে।”
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের পাকিস্তানের পরমাণু বোমা সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিজেপি নিশানা করেছিল কংগ্রেসকে। আজ তাকেই আবার ফিরিয়ে এনে মোদী বলেন, “কংগ্রেস বারবার নিজের দেশবাসীকেই ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছে। তারা বলছে, সবাই সাবধানে থাকুন— পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা রয়েছে। ওরা নিজেরা প্রায় মৃত, দেশবাসীর মনকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। এটাই কংগ্রেসের বরাবরের অভ্যাস।” এর পর পাকিস্তান প্রসঙ্গ তুলে মোদীর মন্তব্য, “পাকিস্তানের যা অবস্থা, তাদের বোমা রাখারও সামর্থ্য নেই। তারা সেটাকেও বিক্রি করতে বেরিয়েছে। কিন্তু ওদের বোমার গুণমান এমনই যে বিক্রিও হয় না!” সংখ্যালঘু ভোট হারানোর ভয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ঠিকমতো করে না কংগ্রেস— এই অভিযোগও এনেছেন মোদী। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের এই দুর্বল মানসিকতার জন্য ষাট বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আতঙ্কে ভুগেছে।