প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে আগামিকাল। তার ঠিক আগে আজ কেরলের পাতানামতিট্টায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, এনডিএ আগের রেকর্ড ভেঙে ক্ষমতায় আসবে। সেই সঙ্গে কেরলে ১০ বা তার চেয়ে বেশি আসন পাবে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের আগে কেরল, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায় নিজেদের শক্তি বাড়াতে মরিয়া বিজেপি। সে জন্য প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। পাতানামতিট্টায় বিজেপির প্রার্থী কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি।
খ্রিস্টান ও মুসলিম অধ্যুষিত কেরলে হিন্দুপন্থী হিসেবে পরিচিত বিজেপির ভাবমূর্তির সমস্যা রয়েছে গোড়া থেকেই। পাশাপাশি মণিপুরে সাম্প্রতিক হিংসার জেরেও কেরলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দলকে।
অ্যান্টনির সমর্থনে জনসভায় মোদী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বারবার। যুদ্ধদীর্ণ ইরাক থেকে কেরলের ৪৬ জন নার্স, ইয়েমেনে আইএসের হাতে অপহৃত কেরলের যাজক ফাদার টমকে উদ্ধারে তাঁর সরকারের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি মণিপুর নিয়ে সমালোচনার জবাবে সম্প্রতি কোট্টায়াম জেলার পুঞ্জরে এক খ্রিস্টান যাজককে এক দল পড়ুয়ার গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার অভিযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যের বিষয় কেরলে খ্রিস্টান যাজকেরাও সুরক্ষিত নন।’’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে কেরলের কথা উল্লেখ করেছিলাম। ভারতের উন্নয়নে খুশি হয়েছেন পোপও।’’
জনসভায় মোদী দাবি করেন, এ বার কেরলের ভোটারদের বিজেপির প্রতি ভালবাসা ভোটে প্রতিফলিত হবে। তাঁরা বাম জোট এলডিএফ ও কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ইউডিএফের ‘দুষ্টচক্র’ ভেঙে দেবেন।
এ দিন তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে মালকাজগিরি কেন্দ্রে রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। খোলা জিপে গেরুয়া টুপি পরে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি ও মালকাজগিরি কেন্দ্রের প্রার্থী। ১৬ ও ১৮ মার্চ তেলঙ্গানায় জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা মোদীর।
তামিলনাড়ুতে এ বার বিজেপির ভোট বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে নানা সমীক্ষায়। আজ সে রাজ্যে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কন্যাকুমারীতে এক জনসভায় রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে ও বিরোধী ইন্ডিয়া মঞ্চে তাদের শরিক কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, তামিলনাড়ুতে অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের সম্প্রচার চলতে দেয়নি ডিএমকে। আবার কংগ্রেস সরকার জাল্লিকাট্টু খেলা নিষিদ্ধ করার সময়ে নীরব ছিল ডিএমকে। বিজেপির জোটসঙ্গী এডিএমকে-র ভোটারদের কাছে টানতে প্রয়াত নেত্রী জয়ললিতার কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সকলেই জানেন জয়ললিতা মহিলা ছিলেন বলে ডিএমকে তাঁর সঙ্গে কেমন আচরণ করেছে।’’