প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিম এশিয়া সফর সেরে ফিরেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসকে নিশানা করে শুক্রবার বললেন, “স্বজনপোষণ এবং পরিবারবাদের দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকে গিয়েছে কংগ্রেস। সেই কারণেই তাদের ছেড়ে সবাই চলে যাচ্ছে।”
এ দিনই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানান, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মোদীর কাছে তিনি জানতে চান, কংগ্রেস ভাঙিয়ে আর কত জনকে তাঁরা নেবেন? এটা তো ভাল কাজ হচ্ছে না! মোদী জবাবে বলেন, সবাই বিজেপিতে আসতে চাইলে আমি কী করি? খড়্গে জানান, তিনি বলেন ভয় দেখিয়ে তো দলে টানা হচ্ছে! মোদী পাল্টা দাবি করেন, সরকারের উন্নয়নের কাজ দেখে সবাই বিজেপিতে যেতে চাইছেন।
জয়পুরে 'বিকশিত ভারত, বিকশিত রাজস্থান' শীর্ষক অনুষ্ঠানে শুক্রবার ভিডিয়ো মাধ্যমে বক্তৃতা দেন মোদী। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস যে গতিতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সংকল্প করেছে, তাতে দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে কয়েক দশক সময় লেগে যেত। কংগ্রেসের একটাই কর্মসূচি, তা হল চরম মোদী বিরোধিতা। তারা মোদীর বিরুদ্ধে এমন কথা ছড়ায় যা সমাজকে বিভক্ত করে। কোনও দল যখন স্বজনপোষণ ও পরিবারবাদের রাজনীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকা পড়ে তখন এমনটাই ঘটে। আজ সবাই কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কারণ সেখানে কেবল একটি পরিবারকে দেখা যাচ্ছে।” তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের বড় সমস্যা ইতিবাচক নীতি প্রণয়নে দূরদর্শিতার অভাব। তারা ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিতে পারে না এবং সে জন্য তাদের কাছে কোনও পথনির্দেশিকাও নেই। কংগ্রেসের এই চিন্তার কারণে, কংগ্রেসের শাসনকালে গোটা দেশ অন্ধকারে ছিল। কোটি কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। বিদ্যুৎ ছাড়া কোনও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
গত বিধানসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী এই সরকারি অনুষ্ঠানেই রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মোদী। দাবি করেছেন যে আজকের ভারত যে স্বপ্ন দেখে, তা পূরণ করার ক্ষমতাও রাখে। ‘বিকাশিত ভারত’ প্রচারাভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি প্রতিটি পরিবারের জীবনকে সমৃদ্ধ করার অভিযান, এটি দারিদ্র দূরীকরণের অভিযান, এটি যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির অভিযান, আবার দেশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরিরও অভিযান।”