প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
সদ্য হয়ে যাওয়া জাতীয় সম্মেলনে প্রত্যেক দলীয় কর্মীর জন্য আগামী একশো দিনের কাজ বেঁধে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তা হল, সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের কাছে পৌঁছে গিয়ে মোদী সরকারের সাফল্য তুলে ধরা। কর্মীদের পরে এ বার দলের মন্ত্রীদের জন্য কাজ বেঁধে দিলেন মোদী। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে প্রথম একশো দিনে ও পরবর্তী পাঁচ বছরে সরকারের কাজের দিশা কী হওয়া উচিত তা মন্ত্রীদের জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই মন্ত্রীদের নতুন কাজ দেন মোদী। ফের ক্ষমতায় এলে সরকারের কাজ কী হওয়া উচিত তার তালিকা মন্ত্রীদের পেশ করতে বলা হয়েছে আগামী ৩ মার্চ, মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে। সূত্রের মতে, বুধবারের বৈঠকে মোদী মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যের কাছে আগামী প্রথম একশো দিন এবং পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দেন।
মূলত তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে প্রথম ১০০ দিনে কী করা উচিত ও পরবর্তী পাঁচ বছরে সরকারের সার্বিক পরিকল্পনা কী হওয়া উচিত তা জানতে চাওয়া হয়েছে প্রত্যেক মন্ত্রীর কাছে। মোদীর নির্দেশ, এমন পরিকল্পনা দিতে হবে যা স্পষ্ট এবং বাস্তবে রূপায়ণ করা সম্ভব। যে পরিকল্পনা মন্ত্রীরা জমা দেবেন তা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনে মন্ত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন আমলাদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে বলা হয়েছে। যাতে সামগ্রিক পরিকল্পনায় স্পষ্টতা থাকে।
মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্য টিকিট পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই। এমনকি টিকিট পেয়ে জিতে আসলেও, মন্ত্রিসভায় ফের জায়গা হবে কি না তা নিয়েও সংশয়ে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের কাছ থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা চাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের মধ্যেই।
সূত্রের মতে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী মন্ত্রিসভায় কোন মন্ত্রী কোন মন্ত্রক পাবেন তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সরকারের দিশা কী হওয়া উচিত তার রূপরেখা দিন মন্ত্রীরা। মন্ত্রীদের জমা দেওয়া ওই রিপোর্টের মধ্যে থেকে দেশের জন্য যা হিতকারী তার ভিত্তিতে পরিকল্পনা রচনা করবে ক্যাবিনেট সচিবালয়। সূত্রের মতে, ভোটের সময়েও যাতে দেশের কল্যাণের জন্য উন্নয়নমুখী কাজের পরিকল্পনা বন্ধ না থাকে সে জন্যই মন্ত্রীদের কাছ থেকে ওই পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে।