—প্রতীকী ছবি।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দেশে এবং এ রাজ্যে লক্ষাধিক মানুষ কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে ভোট দিতে রাজি হননি। দেশের নিরিখে সেই সংখ্যা ৬২ লক্ষেরও বেশি। আর এই রাজ্যের ক্ষেত্রে তা পাঁচ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা আটটা পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় স্তরে বিজেপি ৩৬.৬৭% এবং এ রাজ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪৫.৭৮% ভোট (পরে শতাংশের হার খুব অল্প রদবদল হতে পারে)।
বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনেই ‘নান অব দ্য অ্যাবভ’ (নোটা) বোতামে চাপ দেওয়ার সুযোগ দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে মোট যত ভোট পড়েছে তার মধ্যে পাঁচ লক্ষের বেশি ভোট পেয়েছে শুধু নোটাই। ইলেক্ট্রনিক ভোট যন্ত্রের (ইভিএম) ‘নোটা’ বোতামে চাপ দিয়েছেন ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৬২৯ জন ভোটার। শতাংশের হিসাবে তা ০.৮৭%। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ‘নোটা’—বাঁকুড়ায়, ২৬ হাজার ২০৯টি। সর্বনিম্ন মালদহ দক্ষিণে, ২৭৯৭টি।
জাতীয় স্তরে ‘নোটা’ বোতামে চাপ দিয়েছেন ৬২ লক্ষ ৯২ হাজার ৬১৪ জন ভোটার। শতাংশের হিসাবে তা ০.৯৯%।
পশ্চিমবঙ্গে মূল রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূল একা পেয়েছে মোট ভোটের ৪৫.৭৮% ভোট। সংখ্যার হিসাবে তা ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৪১টি। এ বার বিজেপির দখলে গিয়েছে ৩৮.৭১% বা ২
কোটি ২৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬০৯টি ভোট। অর্থাৎ, রাজ্যে শাসক
এবং বিরোধী দলের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৪১.৯৮ লক্ষ ভোট। ৫.৬১% বা ৩৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৬২টি
ভোট পেয়েছে সিপিএম। কংগ্রেসের ঝুলিতে তা ৪.৭২% বা ২৮ লক্ষ ৬ হাজার ৫১৭টি। অন্যান্যদের দখলে ৩.৪৭% বা ২০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৩৯টি ভোট।