Lok Sabha Election 2024

মোদী-হাতে সড়কের ‘আংশিক’ উদ্বোধন, কটাক্ষ বিরোধীদের 

শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত চার লেন তৈরির জন্য খরচ ২৭০০ কোটি টাকা। এই অংশটি এত দিন ৩১ডি নামে চিহ্নিত ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫৫
Share:

সড়ক উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। —ফাইল চিত্র।

যে ‘সড়ক’ দিয়ে তিন বছর ধরে যাতায়াত চলছে সেই সড়কই উদ্বোধন হতে চলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে।

Advertisement

আজ, শনিবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালির সরকারি মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত চার লেনের পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কের একটি অংশ। এর কিছু অংশে চার লেনে যাতায়াত চলছে তিন বছর বা তারও আগে থেকে। তা হলে আবার এই পথের উদ্বোধন কেন? কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। যদিও জাতীয় সড়়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, বছর কয়েক আগে, ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে চার লেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল টুকরো টুকরো করে। যেখানে যখন জমি মিলেছে, সেখানে কাজ হয়েছে। সে ভাবেই গোটা সড়কপথ জোড়া হয়েছে। বাকি ছিল ময়নাগুড়ির উড়ালপুলের অংশটি। গত ডিসেম্বরের শেষে উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পরে, পুরো সড়কপথে একলপ্তে যাতায়াত শুরু হয়েছে। তারই উদ্বোধন হবে আজ, দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। যদিও ফুলবাড়ি এলাকায় ছয় কিলোমিটারে এখনও জট থেকে গিয়েছে।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প অধিকর্তা সঞ্জীব শর্মা বলেন, “৭৮ কিলোমিটার পথকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে নির্মাণ হয়েছে। মাসখানেক আগে, সে কাজ শেষ হয়েছে। এত দিন পুরো পথে পরীক্ষামূলক ভাবে যানবাহন চালিয়ে দেখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পরে, সড়কপথ পুরোদস্তুর খুলে দেওয়া হবে।”

Advertisement

শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত চার লেন তৈরির জন্য খরচ ২৭০০ কোটি টাকা। এই অংশটি এত দিন ৩১ডি নামে চিহ্নিত ছিল। এর নতুন নামকরণ হয়েছে জাতীয় সড়ক ২৭। পূর্ব-পশ্চিম করিডরের পুরোটা, অর্থাৎ গুজরাতের পোরবন্দর থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত তৈরি হয়ে গেলে পুরো রাস্তাটিই ২৭
নম্বর জাতীয় সড়ক হিসেবে নামকরণ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যে পথ দিয়ে যাতায়াত করছি সেই পথের আবার উদ্বোধন কী হবে! এঁরা ভোটের জন্য সব
পারেন।”

পাল্টা, জলপাইগুড়ির বিজেপির সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “দীর্ঘদিন আগে চার লেন সড়কের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের জন্য জমি অধিগ্রহণ আটকে ছিল, কোথাও আবার তৃণমূলই কাটমানি খেতে চেয়ে কাজে বাধা দিতে চেয়েছিল। বাধা পেয়েও সব জট খুলে, কেন্দ্রীয় সংস্থা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উত্তরবঙ্গের জন্য এই অংশের কাজ করেছে। অনেক ছোট ছোট কাজ বাকি ছিল, সেগুলি শেষ হয়েছে। পুরো অংশকেই প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গবাসীকে নিবেদন করবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement