Lok Sabha Election 2024

ভোট পড়ে গিয়েছে জেনেও তিনি ভোট দিলেন, বেরিয়ে বললেন, ‘আমি কার ভোট দিয়ে এলাম কে জানে!’

প্রিসাইডিং অফিসার সঞ্জয়কে জানান, তাঁর ভোট পড়ে গিয়েছে। সঞ্জয়ের দাবি, তিনি ভোট দেননি। তর্কাতর্কির পর আবার ভোট দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সন্দিহান সঞ্জয় বলেন, ‘‘কার ভোট যে দিলাম, কে জানে!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফাঁসিদেওয়া (শিলিগুড়ি) শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৭
Share:

কার ভোট দিলেন সঞ্জয়? — নিজস্ব চিত্র।

ভোট দিতে এসে শুনলেন, তাঁর ভোট পড়ে গিয়েছে! হতবাক ভোটার সরাসরি প্রশ্ন করেন বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে। তা নিয়ে দু’জনের তর্কাতর্কি বেধে যায়। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে নিজের ভোট নিজে দেন ভোটার। কিন্তু ভোট দিয়ে বেরিয়েও ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বাসিন্দা সঞ্জয় শাহ সন্দিহান, অস্ফূটে কেবল বলছেন, ‘‘কার ভোট যে দিলাম, কে জানে!’’

Advertisement

শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুরের ২৭ এর ১৭৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসেন এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয়। লাইন দিয়ে যখন ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকেন তখনই তাঁকে জানানো হয়, তাঁর ভোট পড়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে চক্ষু চড়কগাছ সঞ্জয়ের! আদৌ তিনি ভোট দেননি, বরং ভোট দেবেন বলেই রোদের মধ্যে লাইনে এতক্ষণ অপেক্ষা। তা হলে তাঁর ভোট কী করে আগেই পড়ে গেল? সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন প্রিসাইডিং অফিসারকে। যদিও প্রিসাইডিং অফিসার তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সঞ্জয়। আমার ভোট কেন আমি দিতে পারব না? এই প্রশ্ন তুলে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে রীতিমতো তর্কে জড়়িয়ে পড়েন সঞ্জয়। তখন হস্তক্ষেপ করেন ওই বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। তাঁরা সঞ্জয়কে শান্ত করে আশ্বাস দেন যে, তিনি অবশ্যই নিজের ভোটে নিজে দিতে পারবেন। কিছু ক্ষণ পর অবশ্য সঞ্জয় নিজের ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সঞ্জয় বলেন, ‘‘এসেছিলাম ভোট দিতে। কিন্তু এসে দেখি আমার ভোট কে বা কারা দিয়ে দিয়েছে। এর পর যখন আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে বলতে যাই, তিনি বলেন, আমার ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ভোট দিইনি। যদিও পরে আমাকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে প্রশ্ন হল, আমার ভোট কে বা কারা দিল! আর আমিই বা কার ভোট দিলাম!’’

অন্য দিকে, ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement