—প্রতীকী চিত্র।
এলাকার পরিধি বৃদ্ধি পেলেও গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বুথের সংখ্যা কমতে চলেছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়। তবে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় চলতি বছরের লোকসভা ভোটে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে চলেছে তাদের অধীনস্থ এলাকায়।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের গোড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় যুক্ত হয়েছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়। ফলে, বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের এলাকার পরিধি। সেই হিসাবে বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও প্রাথমিক ভাবে লোকসভা ভোটের জন্য বুথের সংখ্যা ঠিক হয়েছে ৫১৫৮টি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় এলাকার বুথ ধরে সেই সংখ্যা ছিল ৫৭১০। যার অর্থ, এ বার কলকাতা পুলিশ এলাকায় বুথ কমেছে ৫৫২টি। অন্য দিকে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রাথমিক ভাবে ১৯৪০টি কেন্দ্র হবে বলে ঠিক হয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ছিল ১৭১০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। অর্থাৎ, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ২৩০টি।
এলাকা বাড়লেও বুথের সংখ্যা কেন কমল কলকাতা পুলিশ এলাকায়? কারণ হিসাবে এক পুলিশকর্তা জানাচ্ছেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট হয়েছিল করোনা পরিস্থিতির মধ্যে। অতিমারির কথা মাথায় রেখে প্রতি বুথে ভোটদাতার সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এক হাজারের মধ্যে। যার জন্য বেড়েছিল বুথের সংখ্যা। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকায় প্রতি বুথে ভোটদাতার সংখ্যা আগের অবস্থায়, অর্থাৎ দেড় হাজারে ফিরে গিয়েছে। যে কারণে বুথের সংখ্যা কমেছে। আর, এলাকার পরিধি বাড়ার জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ এলাকায় এখনও পর্যন্ত ২৮৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আছে, যেখানে রয়েছে মাত্র একটি করে বুথ। আবার, দু’টি বুথ রয়েছে, এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আছে ৬০৪টি। তিন এবং চারটি বুথ নিয়ে গঠিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩১ এবং ২৮৭টি। সর্বাধিক ১৫টি বুথ নিয়ে রয়েছে দু’টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র।
আগামী ১ জুন কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোট। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার মতো লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। পাশাপাশি, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রেরও বেশ কিছুটা অংশ রয়েছে তাদের এলাকার মধ্যে। অর্থাৎ, পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট সামলাতে হবে লালবাজারকে। প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে ঠিক হলেও কলকাতা পুলিশ এলাকার ভোটের জন্য কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।