প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই কাল, মঙ্গলবার রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী জনসভা। প্রস্তাবিত সেই সভা নির্বিঘ্নে শেষ করতে বিজেপি, পুলিশ ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসপিজি) জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিকালে রায়গঞ্জের দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার একটি মাঠে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে মোদী সভা করবেন বলে ঠিক রয়েছে। অন্য দিকে, দুপুরে বালুরঘাট রেলমাঠে বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার-সহ জেলা পুলিশের কর্তারা রায়গঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ওই জনসভার মঞ্চ তৈরি ও সেখানকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন। এ দিন রায়গঞ্জের স্টেডিয়াম মাঠে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার মহরাও সফলভাবে শেষ হয়েছে। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি শেষের পথে।”
অন্য দিকে, বালুরঘাট রেল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজও শেষের পথে। শনিবার রাতে মঞ্চ তৈরির কাজ-সহ সভা আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতে ওই মাঠে যান সুকান্ত। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে বলে আশা করছি।” তাঁর দাবি, এর আগে জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমায় মোদীজির সভা হয়েছিল। এ বার বালুরঘাটে তাঁর সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন বালুরঘাটেও প্রধানমন্ত্রীর চপার অবতরণের মহড়া হয়। প্রধানমন্ত্রী সভাকে কেন্দ্র করে হিলি, বালুরঘাট ও তপন এলাকায় এ বারের লোকসভা ভোটে ‘লিড’ আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চ পরিচালনার যুগ্ম দায়িত্বে রাখা হচ্ছে এক আদিবাসী মহিলাকেও।
উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সূত্রের দাবি, ইসলামপুর মহকুমায় সংখ্যালঘু ভোট বেশি। সে কথা মাথায় রেখে রায়গঞ্জ মহকুমায় মোদীর সভা আয়োজন করা হচ্ছে। ওই জনসভায় রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও করণদিঘি বিধানসভার কয়েক লক্ষ মানুষকে হাজির করানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ওই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করিয়ে এ বারের ভোটে সেই ‘লিড’ আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের বক্তব্য, “মানুষের অধিকার হরণকারী ও সাম্প্রদায়িক দলের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের কোনও উৎসাহ নেই।”