রোড-শো তাহেরের। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
আগাম প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীদের। তৃণমূলের দাবি, দেওয়াল লিখন থেকে ভোট প্রচার সবেতেই অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে এগিয়ে রাজ্যের শাসক দল। ভোটের ময়দানে প্রচারে ঝড় তুলেছেন প্রার্থীরা।
মুর্শিদাবাদ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান, প্রতিদিন সকালে নওদার বাড়িতে বিভিন্ন ব্লক, বিধানসভা এলাকার কর্মীদের নিয়ে ছোট ছোট বৈঠক করার পর তাদের নির্দেশ দিচ্ছেন কীভাবে ভোটের ময়দানে কাজ করতে হবে। তারপর তিনি বেরিয়ে পড়ছেন বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায়। শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে জলঙ্গি থেকে ভগবানগোলা, ডোমকল থেকে করিমপুরে ছুটছেন তিনি। প্রতিদিন একাধিক বিধানসভা এলাকায় কর্মীদের নিয়ে সভা করছেন তিনি। কোথাও আবার পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
মুর্শিদাবাদ লোকসভার সাংসদ আবু তাহের খানের উপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। দীর্ঘ সাত মাস স্নায়ু ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসার পর নভেম্বর মাসের প্রথমে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে করিমপুর, ভগবানগোলায় ঘর গোছাতে শুরু করেন তিনি। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই রণকৌশল ঠিক করার পাশাপাশি ময়দানে জনসংযোগ করতে ব্যস্ত পোড় খাওয়া এই জনপ্রতিনিধি।
তাহের জানান, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে প্রথমে রনকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। পরে তাঁরা অঞ্চল ও বুথের কর্মীদের নিয়ে ভোটের ময়দানে নামছেন। এ দিনও প্রচার সারেন তিনি। করিমপুর থেকে রানিনগর, জলঙ্গি থেকে ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ সর্বত্র দেওয়াল লিখনের কাজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে ঝড় উঠলেও ব্যতিক্রম ছিল হরিহরপাড়া। রবিবার হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ কর্মিদের নির্দেশ দেন দলের হয়ে ভোটের ময়দানে নামতে। তাহের বলেন, “মানুষের দোয়া আশীর্বাদে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি। এই অবস্থাতেও মানুষের কাছে যাচ্ছি। মানুষের
সাড়া পাচ্ছি।’’