বিধানসভায় ইস্তফা দিলেন মুকুটমণি অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগ করলেন রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তাঁকে এ বার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ভোটের আগেই বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রানাঘাট কেন্দ্র থেকেই তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ভোটে লড়ার আগে তাই বিধায়ক পদ ছাড়লেন মুকুটমণি।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন স্পিকার। তিনি বলেন, ‘‘মুকুটমণি অধিকারী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কেউ ওঁকে এই কাজ করতে প্ররোচিত করেননি, কোনও ভীতি প্রদর্শন করা হয়নি। আমি ওঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছি এবং পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।’’
লোকসভা ভোটের মুখে বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দেন। রাজ্যের শাসকদলের কাছে তা ছিল বড়সড় ধাক্কা। এর ঠিক পরেই পাল্টা হিসাবে বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণিকে দলে আনে তৃণমূল। বিজেপির এই মতুয়া বিধায়ক গত লোকসভা নির্বাচনে ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে বিজেপির প্রথম পছন্দ। কিন্তু রাজ্য সরকারি হাসপাতালের কাজ থেকে তিনি ছাড়া না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয় জগন্নাথ সরকারকে। আইনি জটিলতায় সে বার প্রার্থী হতে না পারলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন মুকুট। লোকসভা ভোটের মুখে জেলায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল, এ বার মুকুটকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণের বেশ কিছু যুব পদাধিকারী প্রকাশ্যেই মুকুটকে প্রার্থী হিসাবে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ বার তাঁর নাম বিবেচনাতেই রাখেনি দল। প্রথম দফাতেই রানাঘাটে ফের প্রার্থী করা হয়েছে জগন্নাথকে। তার পরেই দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন রানাঘাটের মতুয়া বিধায়ক। তৃতীয় দফায় আগামী ১৩ মে রানাঘাটে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার বিধায়ক পদ ছাড়লেন মুকুট।