—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দেশে আর জারি থাকছে না আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল সে কথা। শুধুমাত্র কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানায় জারি থাকছে এই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। সেখানে বিধানসভা পরিষদের উপনির্বাচন রয়েছে।
গত ১৬ মার্চ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই দিন থেকে দেশে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি করা হয়। ১৯ এপ্রিল থেকে দেশে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সাত দফায় হয়েছে ভোটগ্রহণ। ১ জুন শেষ হয় ভোটগ্রহণ। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে গত মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার কমিশন জানাল, সেই আচরণবিধি আর জারি থাকছে না দেশে।
নির্বাচনী আচরণ বিধি হল কিছু নির্দেশিকা, যা স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য জারি করা হয়। বিধি না মানলে পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন। এই নির্বাচনী আচরণ বিধি জারির পর থেকে সরকারও কোনও জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে না। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারে না। প্রার্থীরা কোনও আর্থিক অনুদান দিতে পারেন না। প্রশাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না। যেমন সড়ক নির্মাণ, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না ভোটঘোষণার পর। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি হলে সরকারি ক্ষেত্রে সাময়িক নিয়োগ বন্ধ করা হয়। মনে করা হয়, এর ফলে প্রভাবিত হতে পারেন ভোটারেরা। কোনও মন্ত্রী বা প্রার্থী তহবিল থেকে অনুদান মঞ্জুর করতে পারেন না। খরচও করতে পারেন না। প্রচারের জন্য সরকারি পরিবহণ, যন্ত্র, নিরাপত্তারক্ষী ব্যবহার করা যায় না। পুরসভাকে সকল প্রার্থী, রাজনীতিকদের জনসভার জন্য বিনামূল্যে সরকারি জায়গা ব্যবহার করতে দিতে হয়। সকল প্রার্থী বা রাজনীতিকের ক্ষেত্রে একই শর্ত রাখতে হয়। পক্ষপাতিত্ব করা চলে না। ভোটের কাজে কোনও সরকারি ডাকবাংলো, বিশ্রামাগার বা অন্য সরকারি সুবিধা ব্যবহার করা যায় না। কোনও দল বা প্রার্থী তা পারে না। ভোটারদের প্রভাবিত করতে কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষের আবেগকে ব্যবহার করা যায় না। কারও আবেগে আঘাত করা যায় না। ভোটারকে প্রভাবিত করা বা ঘুষ দেওয়া, গুজব ছড়ানো যায় না। এ রকম বিধি আর জারি থাকছে না দেশে। ব্যতিক্রম তিন রাজ্য।