TMC on NIA

জিতেন্দ্র-এনআইএ যোগের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানাবে তৃণমূল, মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দল

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভূপতিনগরকাণ্ডে তদন্তভার নেয় এনআইএ। সম্প্রতি ওই ঘটনায় তাদের তদন্তে অনেকটা গতি আসে। এর নেপথ্যে ‘অভিসন্ধি’ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৯
Share:

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিতেন্দ্র তিওয়ারি (ডান দিকে)। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ অফিসারদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল। ওই ঘটনায় এনআইএ এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে— এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতে যাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের দাবি, এনআইএর এসপি ধনরাম সিংহের বাড়িতে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ওই বৈঠকের পরেই দলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও ওই সব দাবি খারিজ দেন জিতেন্দ্র। তাঁর বক্তব্য, ওই সব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।

Advertisement

রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের পুরনো মামলার তদন্তে বিজেপির কাছ থেকে ‘টাকা নিয়ে’ দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুণাল একটি কাগজ তুলে ধরে দাবি করেন, সেটি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের বাড়ির ঠিকানা। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ছিলেন বিজেপির জিতেন্দ্র। তিনি এনআইএর এসপি ধনরামকে তৃণমূল নেতাদের একটি তালিকা ধরিয়ে দেন বলে দাবি কুণালের। তাঁর আরও দাবি, ভোটের আগে কোন কোন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে, তা বলা হয় ধনরামকে। শুধু তা-ই নয়, একটি সাদা প্যাকেটও এনআইএর ওই অফিসারকে দেন বিজেপি নেতা। তাতে টাকা আছে কি না, পুলিশ তার তদন্ত করুক বলে দাবি করেছে তৃণমূল।

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির নেতা জিতেন তিওয়ারি এনআইএর এসপির সঙ্গে বৈঠক করেছে। আমরা তার কমপ্লেন পাঠিয়েছি।’’ মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বিজেপি নেতা বলে দেবেন, ওর বাড়িতে আয়কর দফতর তল্লাশি করো, ওর বাড়িতে ইডি পাঠাও?’’ কুণাল দাবি করলেন, জিতেন্দ্র যে এনআইএ-র এসপি ধনরাম সিংহের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই ভিডিয়ো তাঁদের কাছে আছে। মানতে না চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে দেবেন। পাল্টা বিজেপি নেতার দাবি, তৃণমূল যদি প্রমাণ করতে পারে যে এমন কোনও বৈঠক তিনি করেছেন, তা হলে রাজনীতির ময়দান থেকেই সরে যাবেন। আর এই পুরো ঘটনায় জিতেনের পাশেই রয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, চাপে পড়ে এনআইএ হানাকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাগিয়ে দিতে চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাই এনআইএর বিরুদ্ধে ভূপতিনগরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করছে তৃণমূল।

Advertisement

যদিও এনআইএ কর্তার সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জিতেন্দ্র। তিনি পাল্টা মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘আমাদের দেশের যা আইন, সেটা অনুযায়ী, আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করেছে, তা ওরা (তৃণমূল) প্রমাণ করুন। প্রমাণ করতে না পারলে ক্ষমা চাইবেন। সেটা না-করলে সাত দিনের মধ্যে আমি মানহানির মামলা করব।’’

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভূপতিনগরকাণ্ডে তদন্তভার নেয় এনআইএ। সম্প্রতি ওই ঘটনায় তাদের তদন্তে অনেকটা গতি আসে। এর নেপথ্যে ‘অভিসন্ধি’ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এ বার ওই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে শাসকদল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement