প্রজ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি সামনে এসেছিল গত কালই। সূত্রের দাবি, যৌন কেলেঙ্কারি ও ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি তথা জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে আজ শো কজ় নোটিস পাঠাল বিদেশ মন্ত্রক।
গত কাল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের আবেদন জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠতেই বিদেশে পালিয়ে যান প্রজ্বল। পলাতক সাংসদকে দেশে ফেরাতে এ বার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, গত ২১ মে কর্নাটক সরকারের আবেদন পেয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সংবাদমাধ্যমে অনেকে অনেক কথা বলছেন। তবে বিদেশ মন্ত্রক আইন মেনেই চলছে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইন অনুসারে প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা কার্যকর হলে প্রজ্বলের বিদেশে বসবাস বেআইনি বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশ অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে। শুরু হবে তাঁকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া।
প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ওঠা একের পর অভিযোগের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে কর্নাটক সরকার। সিটের অনুরোধে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারির আবেদন জানিয়েছে। অভিযোগগুলির জেরে বিপাকে প্রজ্বলের দল জেডিএস। ইতিমধ্যেই কাকা এইচডি কুমারস্বামী ভাইপোকে দেশে ফিরতে বলেছেন। তা-ও দেখা মেলেনি ওই সাংসদের। গত কাল দেবগৌড়াও প্রজ্বলকে অবিলম্বে দেশের ফেরার নির্দেশ দেন। জেডিএস প্রধান পরিবারের মর্যাদাহানির বিষয়টিও স্মরণ করিয়েছেন প্রজ্বলকে।