হেলিকপ্টারে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে চেপে ঘুরে দেখলেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জয়নগর, গোসাবা, বাসন্তী ও কুলতলির বিভিন্ন এলাকা। সুন্দরবনের যে সব এলাকায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে, সেই সব এলাকায় পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুন্দরবন এলাকায় বাঁধ মেরামতির জন্য কেন্দ্রের পাঠানো টাকা রাজ্যের তৃণমূল সরকার ‘খেয়ে নিয়েছে’ বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কাকদ্বীপের সভা থেকে বলেন, ‘‘নদী কাটান আটকানোর জন্য সরকার টাকা পাঠায়। সেই টাকা তৃণমূল খেয়ে নিয়েছে। এদের একটাই অ্যাজেন্ডা। এদের কাটমানি চাই।’’ মোদীর মন্তব্য নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। বুধবার বারুইপুরের সভা থেকে তিনি দাবি করেন, ‘‘কাকদ্বীপ থেকে মিটিং করে উনি (নরেন্দ্র মোদী) বলছেন বাঁধের টাকা দিয়েছেন, তৃণমূল নাকি খেয়ে নিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বাঁধের জন্য একটা টাকাও দেয়নি।’’ ঘটনাচক্রে, এর পরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মমতা। বারুইপুরের সভা থেকে কপ্টারে করে বেরিয়ে পড়েন তিনি। তা সেরে কলকাতায় ফেরেন মমতা। এর পর শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝ়ড় ও ভরা কটালের জলের তোড়ে সাগরের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধের মাটি ঘুরে গিয়েছে। শুধু সাগরের তল্লাটেই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও নানা জায়গায় নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোসাবা ব্লকের কুরিরমারি, পেটুয়াখালি, বালি, পাখিরালয়-সহ বেশ কিছু নদীবাঁধে ধস নামে। সেচ দফতর ও গ্রামবাসীরা মিলিত ভাবে সেই বাঁধ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। বুধবারই সেই সব এলাকাই ঘুরে দেখলেন মমতা।