মঙ্গলবাড়ীর রাস্তায় নাচের দলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি - সন্দীপ পাল।
তিন দিনের ব্যবধানে আজ, সোমবার ফের আলিপুরদুয়ার জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের প্রায় শেষ লগ্নে মঙ্গলবার জেলায় আসবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শেষ মুহূর্তে ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া বিরোধীরাও। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সোমবার ফালাকাটার জটেশ্বরে সভা করতে আসছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। দিন কয়েক আগে যে জটেশ্বরে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বড়াইকের হয়ে রোড শো করেছিলেন অভিনেতা তথা দলের বিদায়ী সাংসদ দেব।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৫এপ্রিল আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের অধীনে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে প্রথম জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এক সপ্তাহ পরে গত শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনিতে আর একটি জনসভা করেন তিনি। তার পরে তিন দিনের ব্যবধানে আজ, সোমবার বীরপাড়ার ডিমডিমাতে হতে চলেছে তৃণমূল নেত্রীর জনসভা। যে এলাকাটি পড়ছে বিজেপি প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার বিধানসভা এলাকায়। তৃণমূলের মাদারিহাট ব্লক সভাপতি জয়প্রকাশ টোপ্পো বলেন, “ডিমডিমাতে দলনেত্রীর জনসভার যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ। গোটা এলাকা এখন দলনেত্রীর আসার অপেক্ষায়।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার জানান, মাদারিহাট বিধানসভা ছাড়াও ফালাকাটা ও নাগরাকাটা বিধানসভা এলাকার একাংশ থেকে দলের নেতা-কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রকে ঘিরে জেলায় তৃণমূল নেত্রীর এটাই শেষ সভা। তবে শেষ লগ্নেও প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সূত্রের খবব, আগামী কাল, মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে আসবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ার শহরে রোড শো করবেন তিনি। যদিও তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণের কটাক্ষ, “ওঁরা জেলায় পড়ে থাকলেও লাভ হবে না। এ বারের নির্বাচনে তৃণমূলের হার নিশ্চিত।”
শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া বিজেপিও। দিন কয়েক আগে ফালাকাটার জটেশ্বরে রোড শো করেন অভিনেতা তথা তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ দেব। সেই জটেশ্বরেই সোমবার টিগ্গার হয়ে জনসভা করার কথা রয়েছে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। যদিও মিঠুনের সেই জনসভাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল।