Lok Sabha Election 2024

বুধবার শিলচরে মমতা, তুলবেন কি সিএএ

দলীয় নেতৃত্বের মতে, মমতার রাজনৈতিক জীবনের গোড়া থেকেই সন্তোষমোহন তাঁর পাশে থেকেছেন, তাঁকে উৎসাহ ও সমর্থন জুগিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও শিলচর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৫৬
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।

লোকসভার প্রথম দফার ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে বুধবার অসমের শিলচরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যে দলীয় প্রার্থীদের উৎসাহিত করতে দুপুরে তাঁর জনসভা। তৃণমূল নেত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে অসম। সেই রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তবে শিলচরকে মমতার অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণ এখানকার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের স্মৃতিকে সম্মান জানানো, এমনটাই মনে করছে তৃণমূলের সূত্র।

Advertisement

দলীয় নেতৃত্বের মতে, মমতার রাজনৈতিক জীবনের গোড়া থেকেই সন্তোষমোহন তাঁর পাশে থেকেছেন, তাঁকে উৎসাহ ও সমর্থন জুগিয়েছেন। যখন কংগ্রেসের অন্য অনেক বড় নেতা পিছন থেকে মমতার রাজনৈতিক উত্থানকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন, শিলচরের এই কংগ্রেসি নেতা কিন্তু অবিচল থেকেছিলেন মমতার পাশে। মমতারও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা অটুট। বিশেষ বিমানে বেলা সাড়ে ১২টায় শিলচর বিমানবন্দরে পৌঁছেই তিনি চলে যাবেন টাউন ক্লাবের মাঠে।

সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেবকে দু’বার রাজ্যসভার প্রার্থী করেছেন মমতা। আগামিকালের সভার মুখ্য আয়োজক সুস্মিতাই, সঙ্গে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বরা। যদিও রিপুন বরাকে কোনও কেন্দ্রে টিকিট দেয়নি দল। গত ৭ মার্চ কলকাতায় তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের মিছিলের শেষে ধর্মতলায় জমায়েত থেকে সুস্মিতা দেবকে অসমে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। অসমের মোট ১৪টি আসনের মধ্যে ৪টিতে (শিলচর, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, বরপেটা) লড়ছে তৃণমূল। শিলচরে তৃণমূলের প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাস। তাঁর সমর্থনেই বক্তৃতা করবেন মমতা।

Advertisement

তবে অসমের বঙ্গভাষীপ্রধান অঞ্চলে এসে মমতা সিএএ নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পারেন, এই আশঙ্কায় তাঁর সফরের আগের দিনই বিজেপি নেতারা নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যাপারে নতুন করে আশ্বস্ত করেছেন। শিলচরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, এক মাসে অসমে মাত্র এক জনই অনলাইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। অনলাইন প্রক্রিয়ার জন্যই অনেকে আইনের সুবিধা নিতে এগিয়ে আসছেন না বলে তাঁর মত। যে দেশ থেকে এসেছেন, সে দেশের বাসিন্দা থাকার প্রমাণপত্র সঙ্গে দেওয়াও অনেকের কাছে কঠিন। পরিমলের কথায়, রাজ্য মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে এই প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর থাকায় এখনই সে সব খোলসা করে বলা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement