মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
মমতা বললেন, ‘‘আমার গাড়ি দেখে ওরা ‘চোর’ বলছে। আমি কারও পিতৃদেবের টাকায় এক কাপ চা-ও খাইনি। চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন, পেনশন নিতে পারতাম। নিই না। কারণ, আমার দরকার নেই। আমার দরকার মানুষকে। মানুষই আমার সব। কী সাহস ওদের!আমাকে ‘চোর’ বলছে! ওদের জিভ টেনে নিতে পারতাম। কিন্তু ভোট বলে কিছু বলিনি। তা ছাড়া আমি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ নই। ওঁরা বলেন, ‘বেছে বেছে জেলে পাঠাব। উল্টো ঝুলিয়ে সিধে করে দেব’। আমি সেটা বলব না। জিভ টেনে নিতে পারলেও সেটা করব না।’’
মমতার বক্তব্য, ‘‘বিজেপি কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভিডিয়ো তৈরি করছে। সমাজমাধ্যমে দিচ্ছে। একদম বিশ্বাস করবেন না। যেটা চোখে দেখবেন, সেটাই বিশ্বাস করবেন না। কারণ, ওরা মিথ্যা কথা বলে।’’
মমতার কথায়, ‘‘বিজেপি আর ইডি-সিবিআই ভাই ভাই,কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররাও বলছে, ‘বিজেপি করো’।’’
মমতা বললেন, ‘‘এরা জিতবে না। সেটা বুঝতে পারছে। বুঝতে পারছে বলেই এত কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে শাসানি, এত অপপ্রচার, এত অত্যাচার। ৪০০ তো দূর, ২০০ পার করবে না। ওদের হালখাতা শূন্য হয়ে যাবে এ বার। তামিলনাড়ুতে স্তালিনেরা জিতবে, পঞ্জাবে অরবিন্দেরা, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের পার্টি জিতবে, বাংলায় আমরা লড়াই করে জিতব। বিজেপি শূন্য পাবে।’’
বুধবার রামনবমীর দিন বিজেপি অশান্তি করতে পারে বলে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘সংখ্যালঘু ভাইয়েরা অশান্তি বাড়তে দেবেন না।’’
তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন মমতার। বললেন, ‘‘ইয়ং জেনারেশনের কাছে আমি আবেদন করছি, বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই দেশটাকে চেনো। দয়া করে দেশটাকে বাঁচাও। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাও।’’
জনতাকে মমতা বললেন, ‘‘আমি প্রশ্ন করছি, আপনাদের উত্তর দিতে হবে।’’ প্রথম প্রশ্ন, ‘‘আমার মতো উত্তরবঙ্গে আগে কেউ এসেছে?’’ তার পরের প্রশ্ন, নতুন জেলা, মহকুমা, ভাষা, শিক্ষা, সার্কিট বেঞ্চ, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মন্দির থেকে শুরু করে একের পর উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়ে। জনতার কাছ থেকে এল জবাবও।
বিজেপি ইডি, সিবিআই, এনআইএর ভয় দেখাচ্ছে , আর সব বিজেপিতে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় চোর কারা? সবচেয়ে বড় চোর তো ওরাই। গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। সবচেয়ে বড় চোর বিজেপি। ১০০ দিনের টাকা লুট করছে। পিএম কেয়ার ফান্ডের নামে টাকা লুট করছে। বললেন মমতা।
মমতা বলেন, ‘‘বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছেন। আর ওরা দিল্লিতে গিয়ে টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে।’’
মমতা বললেন, যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে তাঁরা বাংলার বাড়ির টাকা পাবেন।
১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি এই বছরেই করব। ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা রিলিজ় করব, কথা দিয়ে যাচ্ছি, বললেন মমতা।