—প্রতীকী চিত্র।
নিজেদের দাবি করা আসন সংখ্যায় কোনও আপোস করবে না সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। এ ব্যাপারে তাদের অবস্থানের কথা ফরওয়ার্ড ব্লক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। সিপিএমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার ফের বৈঠকে বসে সিপিআই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীও সিদ্ধান্ত নিল, তারা মেদিনীপুর ছাড়া বসিরহাট এবং ঘাটাল আসনে লড়বেই। ইতিমধ্যেই বামেদের প্রথম প্রার্থিতালিকায় মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থী হিসাবে বিপ্লব ভট্টের নাম ঘোষিত হয়েছে।
ফরওয়ার্ড ব্লক নতুন করে আর আলোচনা করেনি। হেমন্ত বসু ভবন জানাচ্ছে, দলের তরফে সিপিএমকে যা জানানোর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনটি আসনেই তাদের দল লড়বে। ইতিমধ্যেই কোচবিহার আসনে বামফ্রন্টের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর নাম ঘোষিত হয়েছে। এ ছাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের ভাগের আসন বলতে রয়েছে বারাসত এবং পুরুলিয়া।
অন্য দিকে সোমবারও কংগ্রেস তাদের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেনি। তবে সিপিএমের এক প্রথম সারির নেতা জানিয়েছেন, পার্টির কাছে কংগ্রেসের তরফে বার্তা এসেছে। যে বার্তার পর আরও কয়েক বেলা অপেক্ষা করার ব্যাপারে মনস্থির করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তবে তারা আশাবাদী, মঙ্গলবার রাত বা বুধবার সকালের মধ্যে কিছু একটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তার পর আবার বামফ্রন্ট বসে বাকি আসনে ভাগাভাগির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৪ মার্চ বামেদের প্রথম দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হয়েছিল। সে দিন ফ্রন্টের বৈঠকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে শরিক নেতাদের তীব্র বিতণ্ডা হয়। যে কারণে, নির্ধারিত সময়ের ৫০ মিনিট দেরিতে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করতে হয় ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে।
এ বার সিপিআইয়ের কাছে ঘাটাল এবং বসিরহাট আসন দাবি করেছিল সিপিএম। ঘাটালের বদলে সিপিআইকে কাঁথি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনওটাতেই রাজি হয়নি সাবেক কমিউনিস্ট পার্টি। আবার সোমবারের গুঞ্জন, ঘাটাল আসনে সিপিআই প্রার্থী করার ব্যাপারে সিপিএমের এক বড় নেতার জামাইয়ের কথা ভাবছে। তবে সোমবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইএসএফ কিছু জানায়নি। দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়বেন কি না তা সোমবার জানানোর কথা ছিল। রাত ৮টার খবর, আইএসএফ বৈঠক করছে। রাতে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের কার্যকরি সভাপতি সামসুর আলি মোল্লা।