বর্ধমানে গোদার মাঠ পরিদর্শন দিলীপের। ছবি: উদিত সিংহ ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) কাছে গোদার মাঠের অনুমোদন চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত সেই অনুমোদন মেলেনি। বিজেপির দাবি, বাধ্য হয়ে ওই মাঠ থেকে কিছুটা দূরে ঝিঙ্গুটির সাইয়ের মাঠ বিকল্প হিসেবে বেছে রেখেছেন তাঁরা। সোমবার বিকেলে গোদার মাঠ পরিদর্শন করতে গিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, “যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ আসার মতো ব্যবস্থা আছে। চারদিকে জনবসতি নেই। গাড়ি রাখার সুবিধা আছে। হেলিকপ্টার রাখা যাবে। তাহলে এই মাঠ কেন দেওয়া যাবে না?” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে এই মাঠেই প্রশাসনিক সভা করেন। দিলীপের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রাখা হচ্ছে,
দাবি বিজেপির।
বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত অবশ্য বলেন, “ওই মাঠ স্বাস্থ্যনগরীর জন্য উন্নীত করা হবে। সরকারি মাঠ সরকারের অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া যেতেই পারে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা হয়। কিন্তু যে মাঠের কাছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেই মাঠকে কী ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির
জন্য দেব?”
৩ মে সকাল ১০টায় বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি-র একটি দল বর্ধমানে এসেছে। দিলীপের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লেখা হয় প্রশাসনিক, আর সেখানে উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি দেন। এটা কী ধরনের প্রশাসনিক সভা! বিডিএ-র মাথায় কে বসে আছেন? আপনাদের রাজনীতি, আর আমাদের বেলায় আইন দেখাবেন? আমরাও এর জবাব দেব।’’ বিজেপির দাবি, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার জন্য হাই কোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হয়েছিল। এখানেও সেই পরিস্থিতি হবে কি না, দল দেখছে।
তৃণমূলের রাজ্যের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, “এর আগে প্রধানমন্ত্রী সাইয়ের মাঠে সভা করেছিলেন। হঠাৎ রাজনীতি করার জন্য বিজেপি মাঠ নিয়ে
জলঘোলা করছে।”