খণ্ডঘোষে দেওয়াল লিখন। ছবি: উদিত সিংহ।
আগামী ২৫ মে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এবং গলসির কিছু এলাকায় ভোট। জমে উঠেছে শেষ পর্যায়ের প্রচার। দেওয়াল লিখনে ছড়া-টিপ্পনী নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের। যেন একে অপরের ক্ষমতা বুঝে নিতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি।
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল দেওয়াল দখল। প্রার্থী ঘোষণার পরেই ছড়া আর কবিতায় ভরেছে সেই দেওয়ালগুলি। কোথাও তৃণমূলকে ‘চোর’ দাবি করে, তাদের সরিয়ে সুদিন আনার দাবি জানানো হয়েছে। কোথাও বা উন্নয়নের প্রশ্ন তুলে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেও লেখা হয়েছে নানা ছড়া। তৃণমূলের প্রচারে অনেকটাই জুড়ে রয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। পাঁচশো টাকা বেড়ে হাজার টাকা, তফসিলি মা-বোনেদের বারোশো টাকা দেওয়ার কথা দেওয়াল লেখায় উঠে এসেছে। সিপিএমের দেওয়াল লিখনে অন্য দলের নেতাদের নাম উল্লেখ করে ‘দুর্নীতি’র কথা বলা হয়েছে। আবার ১০০ দিনের কাজ ফেরানো, শিক্ষিত বেকারদের কাজ ফেরানোর দাবিতেও ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
এ রকম কবিতা-ছড়ায় ভোট প্রচার বেশ জমজমাট। সিপিএমের দাবি, মূলত তাদের ছাত্র-যুবরাই দেওয়াল লেখার কাজের দায়িত্ব নিয়েছে। খণ্ডঘোষের বাসিন্দা তথা কৃষকসভার নেতা বিনোদ ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন রকম ছড়ায়, বাড়ি বাড়ি প্রচার করে, লিফলেট বিলি করে এবং সমাজমাধ্যমে তাঁরা মানুষের মনে দাগ কাটতে চাইছে।” তৃণমূলের জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, “বেশির ভাগ দেওয়ালই কর্মীরা লিখছেন। দলে অনেক কর্মী রয়েছেন যাঁরা আঁকতে জানেন, তাঁরাই এই দায়িত্ব নিচ্ছেন।” বিজেপিরও দাবি, তাদেরও কর্মীরাই দেওয়াল লিখছেন। দেওয়াল লিখনে পেশাদার শিল্পীর বদলে দলীয় কর্মীদের উপরেই বেশি ভরসা করতে দেখা যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।