—প্রতীকী চিত্র।
রাত পোহালেই ভোটের ‘পঞ্চমী’। রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রের সঙ্গে আজ, সোমবার ভোট হবে হাওড়া সদর ও উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। এক দিকে নির্বিঘ্নে ভোট-পর্ব মেটানো এবং অন্য দিকে বেশি সংখ্যক ভোটদাতাকে বুথমুখী করা, জেলা নির্বাচন দফতরের এই দুই চ্যালেঞ্জের মধ্যেই শাসক ও বিরোধীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে শাসানি, মোটরবাইক বাহিনীর দাপট, দলীয় পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে রবিবার তেতে রইল শহর।
এ দিন সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়, একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) শাসকদলের এক প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলছেন, ভোটের দিন এলাকায় যেন সিপিএম সমর্থকদের দেখা না যায়। দেখলেই বুঝে নেওয়া হবে। সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, তাঁরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘শনিবার রাত থেকেই উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুখে গামছা বেঁধে মোটরবাইকে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটদাতাদের ভয় দেখাচ্ছে। হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর হাওড়ায় বহুতল আবাসনগুলির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। সবই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’’ এর পাশাপাশি, বিজেপি ও তৃণমূলের পতাকা-পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে শনিবার রাতে শিবপুরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। দু’দলই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই সঙ্গে শাসকদলও পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছে, উত্তর হাওড়ার বাঁশতলা এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলিয়ে তাঁদের প্রভাবিত করছে বিজেপি।
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম দফায় আজ হাওড়া সদর এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে ভোট দেবেন ১৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৮৪ জন ভোটদাতা। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ১২২৩টি। প্রতিটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, একটি বুথ আছে, এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জন জওয়ান। অন্য দিকে, দু’টি বুথবিশিষ্ট ভোট কেন্দ্রে ছ’জন এবং তিনটি বুথ থাকা ভোট কেন্দ্রগুলিতে মোতায়েন থাকবেন ১০ জন জওয়ান।
হাওড়া সদর এলাকায় ৮৭১৬ জন ভোটকর্মী এই কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন। মোতায়েন থাকবে ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও প্রায় পাঁচ হাজার রাজ্য পুলিশ। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রতিটি থানায় রাজ্য পুলিশের এক জন অফিসারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে। রাস্তায় টহল দেবে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)।