—প্রতীকী চিত্র।
বেশ কিছু বুথে ইভিএম নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। সেখানে কাউন্টিং এজেন্টদের ভিভি প্যাটের সঙ্গে ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। রবিবার বিধনাসভা ভিত্তিক কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে আলোচনা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক করে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘কিছু বুথে ইভিএম নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। সেই সব বুথে ভোটের সময় ইভিএম নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। সেগুলিতে ভিভি প্যাট ভাল ভাবে দেখার জন্য কাউন্টিং এজেন্টদের বলা হয়েছে। ইভিএমের সিল ঠিক রয়েছে কিনা, সেটাও দেখতে হবে। সব নিয়ে আমরা কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’’
শুধু তৃণমূল নয়, কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বিজেপিও। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনার প্রতিটি বিষয় যাতে সঠিক ভাবে নজরে রাখেন কাউন্টিং এজেন্টরা, সে সব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’’
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ মে-র মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে কাউন্টিং এজেন্টদের তালিকা জমা দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। সে হিসেবে হাতে সময় খুবই কম। ইতিমধ্যেই কাউন্টিং এজেন্ট বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কাউন্টিং এজেন্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সব পক্ষই অভিজ্ঞতা ও সাহসের উপরে জোর দিয়েছে। যে সব কর্মীরা এর আগের লোকসভা বা একাধিক নির্বাচনে কাউন্টিং এজেন্টের কাজ করেছেন, এবং সাহসের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়েছেন, তাঁদেরই এ বারও এজেন্ট হিসেবে রাখার কথা ভাবা হয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু নতুন মুখও আনা হয়েছে। যাঁরা ডাকাবুকো, তাঁদেরও গণনাকেন্দ্রে রাখা হবে।
বিভিন্ন দলের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভিত্তিক এক-একটি জায়গায় পনেরোটি করে টেবিল থাকার কথা। সে ক্ষেত্রে একটি বিধানসভায় প্রতিটি দলের তরফে পনেরো জন করে কাউন্টিং এজেন্ট প্রয়োজন হবে। কোচবিহার লোকসভায় সাতটি বিধানসভা রয়েছে। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যা একশো পার হবে। দুই শিবিরই মনে করছে, কোচবিহারে এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সে জন্যে এক-একটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সবাই। কোনও ভাবেই যাতে একটি ভোটও নষ্ট না হয়, সে দিকে এজেন্টদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। কোনও বিষয়ে সন্দেহ হলে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে বলা হয়েছে।