—প্রতীকী চিত্র।
একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্যে প্রাপ্ত আসনে বিজেপিকে ছাপিয়ে যেতে পারে তৃণমূল। তবে তাকে আমল দিতে নারাজ। আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতাদের যুক্তি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনই সবচেয়ে বড় উদাহরণ যে এই ধরনের সমীক্ষার গুরুত্ব নেই। একুশের সেই সব সমীক্ষার ফল ও বাস্তব ফলের হিসেবও রবিবার সকাল থেকে ভাইরাল তৃণমূলের নানা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। বিকেলে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পরেও চাঙ্গা তৃণমূল নেতারা।
সপ্তম দফায় ভোট শেষ হতেই শনিবার সামনে আসে নানা সংস্থার করা বুথ ফেরত সমীক্ষা। বেশিরভাগ সমীক্ষাই দাবি করছে, বিজেপি এ রাজ্যে তৃণমূলের থেকে বেশি লোকসভা আসন পাবে। তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে সেটাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিতে যাতে দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের মনোবল না ভাঙে, সে জন্য তিন বছর আগে বিধানসসভা ভোটের পর বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা কী ইঙ্গিত দিয়েছিল আর বাস্তবে কী হয়েছে সেই ফল হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘সে বার সবকটি সমীক্ষা বলেছিল তৃণমূল দুশোর কম আসন পাবে। দু-একটি সমীক্ষা বলেছিল তৃণমূলের আসন একশোর কমও হতে পারে। বিজেপি পেতে পারে সর্বোচ্চ ১৯২টি। ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় বিজেপি একশো ছুঁতে পারেনি, আর তৃণমূল পেয়েছে ২১৫টি আসন।’’ একুশের যুক্তি দিয়েই এ ভাবে চব্বিশের ভোটগণনার আগে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল।
তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলছেন, ‘‘আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে রয়েছি। তাঁদের মন বুঝি। ফলও জানি। কোন সংস্থা সমীক্ষায় কী দেখাল তাতে যেন নেতাকর্মীরা বিচলিত না হন সেটাই বলছি।’’ এ দিন বিকেলে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে গণনা সংক্রান্ত বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাতে তৃণমূলের ৪২টি লোকসভার প্রার্থী, জেলা ও ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছিলেন। সেই বৈঠকের পরেও দলের নেতারা চাঙ্গা বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
শাসক দল সূত্রে দাবি, অভিষেকও তাঁর বক্তব্যে একুশের সমীক্ষা ও বাস্তব ফলের ফারাকের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তৃণমূল সূত্রে দাবি, অভিষেক জানান, তিনি বিধানসভার সময় যেমন বলেছিলেন তেমন এ বারেও বলেন ছ’দফাতেই তৃণমূলের প্রাপ্ত আসন গতবারের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছে। তৃণমূল সূত্রে দাবি, তৃণমূলের আসন ২৯ থেকে ৩০ ছুঁতে পারে বলে বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গণনা শেষ না দেখে গণনাকেন্দ্র না ছাড়া, গণনাকেন্দ্রে সজাগ থাকা নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৭সি ফর্মের সঙ্গে মোট ভোটার, কত ভোট পড়েছে, তা মিলিয়ে নিতে হবে। দেখতে হবে পোস্টার ব্যালটের ভোট।