—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বুধবার জনসভা করার কথা ছিল হাবড়া বিধানসভা শিমুলপুর এলাকায়। সকাল থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেছিলেন। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে নড্ডার বক্তৃতা করার কথা ছিল। সেই মতো সভা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আচমকা ওই সময়ে মঞ্চ থেকে বিজেপির বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী স্বপন মজুমদার ঘোষণা করেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নড্ডার সভা বাতিল করা হয়েছে।
সভা বাতিল হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের হাবড়া বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘নড্ডার জনসভা সুপার ফ্লপ। বিরূপ আবহাওয়ার জন্য নয়, সভায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা বিশেষ কেউ যাননি। শ’পাঁচেক লোক জড়ো হয়েছিল। বেশির ভাগ চেয়ার ফাঁকা ছিল। সে কারণেই নড্ডা সভা বাতিল করেছেন। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কী ভয়াবহ অবস্থা!’’ নারায়ণ জানান, এ দিন বিকেলে ওই এলাকায় তাঁরা ৫ হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল করেছেন।
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের বক্তব্য, নড্ডার হেলিকপ্টারে জনসভায় আসার কথা ছিল। সভা মঞ্চের কাছেই হেলিপ্যাড করা হয়েছিল। স্বপনের দাবি, সভায় ৪ হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলেন। স্বপনের কথায়, ‘‘ওই সময় আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল। প্রবল হওয়া শুরু হয়েছিল। সভার একটা অংশের কাপড় উড়ে যায় হাওয়ার দাপটে। এই পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে আমরা আরও বড় সভা করব।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের আনন্দ পাওয়ার কিছু নেই। হাবড়া বিধানসভা এলাকায় ঘাসফুল শিবিরের ভরাডুবি হতে চলেছে।
তবে সভা না হওয়ায় হতাশ কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই। বাড়ি ফেরার পথে এক কর্মীরা বললেন, ‘‘নড্ডাজীকে দেখতে, তাঁর কথা শুনতে এসেছিলাম। কিন্তু প্রকৃতির বিরুদ্ধে তো আমরা লড়াই করতে পারি না। নেতৃত্ব নিশ্চয়ই নড্ডাজীকে পরে কখনও দেখার সুযোগ করে দেবেন।’’