রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে আক্রান্ত সিপিএম নেতা অপূর্ব মজুমদার। ছবি:সুদেব দাস।
সপ্তম ও শেষ দফার ভোট পর্ব মিটতে না মিটতেই ফের ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা ছবি সামনে এল। সিপিএমের এক কাউন্টিং এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে রানাঘাট থানার মাটিকুমরা বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত ওই সিপিএম নেতা অপূর্ব মজুমদার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের কর্মীদের ভোট গণনায় অংশ না নেওয়ার জন্য ভয় দেখাচ্ছিল। এদিনের মারধরের ঘটনায় রানাঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আশিস দাস ও নোকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য উৎপল হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সিপিএম। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিকুমরা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উৎপল হাজরা। ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, উৎপলের ইন্ধনে অবৈধ ভাবে বাজারে দোকান কেনা বেচা চলছে। এছাড়াও অবৈধ নির্মাণে মদত রয়েছে তার। ওই বাজারেই নির্মাণ সামগ্রীর দোকান রয়েছে সিপিএম নেতা অপূর্ব মজুমদারের। মাঝেমধ্যেই অপূর্ব বাজার কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করতেন। ব্যবসায়ীদের অনেকের বক্তব্য, রবিবার বেলা এগারোটা নাগাদ ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বৈঠকে বসেন। সেখানে হাজির ছিলেন অপূর্ব। আচমকাই সেখানে অপূর্বর ওপর হামলা চলে। বাঁশ, ইট দিয়ে তাঁর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। পথচলতি মানুষজন ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সিপিএমের রানাঘাট পূর্ব-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস বলেন, "তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। মানুষ ওদের ভোট দেয়নি। এটা বুঝতে পেরেই ওরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। অপূর্ব এলাকায় প্রতিবাদী মুখ। তা ছাড়া ওঁকে আমরা নির্বাচনী কাউন্টিং এজেন্ট করেছি। ও যাতে গণনা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে সেজন্যই ওর ওপর এই আক্রমণ।" তাঁর আরও অভিযোগ, "তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল হাজরা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশিস দাসের মদতেই হামলার ঘটনা ঘটে।"
রবিবার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে অপূর্বকে দেখতে যান সিপিএমের রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অলকেশ দাস। তিনিও তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাজার কমিটির সভাপতি
উৎপল হাজরা।