Lok Sabha Election 2024

ভাঙড়ের দায়িত্ব নেবেন অভিষেক: সওকাত

আইএসএফের জনসভা থেকে নওসাদ সিদ্দিকী ও তাঁদের দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি দাবি করেছিলেন, সওকাতকে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ০৮:২১
Share:

সওকত মোল্লা। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের পর ভাঙড় বিধানসভায় দলের দায়িত্ব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কাঁধে তুলে নেবেন বলে ঘোষণা করলেন সওকাত মোল্লা।

Advertisement

গত বুধবার ভাঙড়ে শোনপুর বাজারে সভা করেছিল আইএসএফ। বৃহস্পতিবার সেখানেই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সভায় ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা বলেন, “ভাঙড়ের একজনই নেতা। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক যে ভাবে উন্নয়ন করেছেন, সে ভাবেই লোকসভা ভোটের পর থেকে ভাঙড়ের উন্নয়ন করবেন।”

সভায় সওকাত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও মঞ্চে ছাতা মাথায় দিয়ে ভাষণ দিতে দেখা যায় সওকাত ও সায়নীকে। সাধারণ মানুষ বৃষ্টির মধ্যে চেয়ার মাথায় তুলে দাঁড়িয়ে নেতাদের বক্তব্য শোনেন।

Advertisement

আইএসএফের জনসভা থেকে নওসাদ সিদ্দিকী ও তাঁদের দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি দাবি করেছিলেন, সওকাতকে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। এ দিন সওকাত পাল্টা বলেন, “লজ্জা লাগে, ভাঙড়ে সাতটা খুন তথা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালানোর নায়ক বড় বড় কথা বলছেন! আমরা যখন রাস্তায় বেরোই, দু-চারটে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। ওদের গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। আপনি আমাকে জেলে ঢোকান, ইডি, সিবিআই লাগান, তাতে কিছু মনে করব না। কিন্তু তাই বলে দয়া করে ভাঙড়ের মানুষকে অপমান করবেন না।”

নওসাদকে কটাক্ষ করে সওকাত আরও বলেন, “হুজুর নিজে একজন তোলাবাজ। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য প্রতিদিন লোক ডাকছেন। আপনি যদি আমার নামে মিথ্যা মামলা করেন, তা হলে আমরাও চুপ করে বসে থাকব না। ওরা বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে। আমাদের কর্মীরা যেন ওদের প্ররোচনায় পা না দেয়।’’ একইসঙ্গে সওকাতের দাবি, আইএসএফ যে ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সবেতেই জামানত জব্দ হবে।

নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, "অভিষেক বাবুরা তো রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছেন। এত দিন কেন ভাঙড়ের উন্নয়ন করেননি? লোকসভার ভোটের পরে কেন ভাঙড়ের উন্নয়ন করতে হবে? ডায়মন্ড হারবারে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমরা চলি না। সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমার লড়াই। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আইন বহির্ভূত কাজ যেই করবে, তাকে শাস্তি পেতেই হবে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement