Lok Sabha Election 2024

উত্তরবঙ্গ কি মন্ত্রী পাবে, জোর জল্পনা জেলায়

উত্তরবঙ্গ থেকেই দ্বিতীয় বারের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে সুকান্তকেই রাজ্য সভাপতি রাখলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তাঁর মন্ত্রিসভায় যাওয়া হবে না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ০৯:১৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় উত্তরবঙ্গের দুই ‘শূন্য পদ’ তুলে দেওয়া হবে, না পূরণ করা হবে, পূরণ করা হলে, কাদের ভাগ্যে ছিঁড়তে চলেছে মন্ত্রিত্বের শিকে, সে চর্চাতেই মজেছে বিজেপি। শুধু বিজেপি নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কেউ যেতে পারেন কি না তা নিয়ে আগ্রহী এবং খোঁজখবর রাখছে বিরোধী দলগুলিও।

Advertisement

বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শেষ বিন্যাসে উত্তরবঙ্গ কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। চা শ্রমিক নেতা জনকে এ বারে লোকসভা ভোটে টিকিট দেয়নি বিজেপি এবং নিশীথ হেরেছেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিজেপিকে অনেক বেশি সংখ্যক জোট শরিককে মন্ত্রিত্ব দিতে হবে। সে ভিড়ে উত্তরবঙ্গের দুটি মন্ত্রিত্ব পাকা এমন মনে করার কারণ নেই বলে দাবি। যদিও পাল্টা দাবি হল, রাজ্যে বিজেপির সবচেয়ে ভাল ফলাফল হয়েছে উত্তরবঙ্গেই। উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে মন্ত্রী না করলে জনমানসে ভুল বার্তা যাবে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের একাংশের।

উত্তরবঙ্গ থেকেই দ্বিতীয় বারের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে সুকান্তকেই রাজ্য সভাপতি রাখলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তাঁর মন্ত্রিসভায় যাওয়া হবে না। অন্য দিকে সুকান্তকে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া সম্ভব নয়, রাজ্য সভাপতি থেকে পূর্ণমন্ত্রী না করলে, সেটি ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হবে না বলে দাবি বিজেপির একাধিক নেতার।সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কে মন্ত্রী হবেন, সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। দল যা ঠিক করবে, তা-ই হবে।"

Advertisement

চা শ্রমিক নেতা জন বার্লা মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর পরিবর্তে এ বার চা বলয় মন্ত্রী শূন্য রাখলে তা বিরোধীদের হাতে অযাচিত অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সঙ্ঘ পরিবার চা বলয়ে সংগঠন বিস্তার নিয়ে বিজেপির উপরে চাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জন বার্লার পরিবর্তে এ বার ভোটে জিতেছেন আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা। তিনিও রয়েছেন মন্ত্রিত্বের দৌড়ে। মনোজ প্রথম বারের সাংসদ হলেও তিনি দু’বারের বিধায়ক এবং বর্তমানে রাজ্য বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক। এক বিজেপি নেতার কথায়, “মনোজ টিগ্গার আর একটি পরিচয় হল তিনি আরএসএসের ঘরের ছেলে এবং আদি বিজেপি। তাই দলের অন্দরে তাঁর গুরুত্ব আলাদা, সর্বভারতীয় নেতারাও তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন।” ভোটে জেতার পরেই এ নিযে চর্চা শুরু হওয়ায় মনোজের বক্তব্য ছিল, “আমরা দলের সাধারণ কর্মী। কে মন্ত্রিত্ব পাবেন বা পাবেন না, সে দিকে আমরা তাকিয়ে থাকি না। সাধারণ কর্মী হিসাবে দল আমাদের যা দায়িত্ব দেয়, সেটা আমরা পালন করি।”

জলপাইগুড়ি থেকে এ বার দ্বিতীয় বার জিতেছেন চিকিৎসক জয়ন্তকুমার রায়। দলের অন্দরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য পরিচিত। তাঁর সমর্থনে সভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জয়ন্ত রায়ের তথ্যও নেওয়া হয়েছে।

এ দিন দিল্লি থেকে জয়ন্ত রায় বলেন, “এ বারের পরিস্থিতি ভিন্ন। দল যা ঠিক করবে, তাই হবে।” উত্তর মালদহ থেকে খগেন মুর্মুও দ্বিতীয় বারের সাংসদ। এর আগে তিনি বিধায়কও ছিলেন। দ্বিতীয় বারের সাংসদ হিসেবে খগেনেরও নাম নিয়েও চর্চা চলছে। তিনিও দিল্লিতে। খগেন বলেন, “এ সব দলের সিদ্ধান্ত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement