কাঁকলি ঘোষ দস্তিদার। —ফাইল চিত্র।
দেগঙ্গার লিডের ভরসাতেই পর পর চার বার বারাসত কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ৬৯ হাজারের কিছু বেশি দেগঙ্গা থেকে পেয়েছেন কাকলি। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৯ ভোটে জিতেছেন তিনি। তবে পিছিয়ে ছিলেন হাবড়া ও বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রে। প্রার্থী জিতলেও শহর এলাকার ভোট কম পাওয়ায় চিন্তিত দলের নেতৃত্ব।
হাবড়ায় লিড পেয়েছে বিজেপি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরে হাবড়ার সংগঠন নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই সংশয়ই সত্যি হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়ের অনুপস্থিতি এবং দেগঙ্গা-অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় আইএসএফের শক্তিবৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ্ন ছিল তৃণমূল শিবিরের একাংশের মধ্যে। তবে এই দু’জায়গা থেকেই লিড পেয়েছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার পেয়েছেন ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮২১ ভোট।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, লক্ষাধিক ভোটে প্রার্থী জিতলেও স্বস্তিতে নেই তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাসত পুরসভা ছাড়াও অন্যান্য বিধানসভা এলাকার পুর এলাকার বুথগুলিতে গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ভোট কম পেয়েছে তৃণমূল। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘শহর অঞ্চলের ভোটারদের একটা অংশ কেন ভোট দেননি, তা আমরা অনুমান করেছি। পরে বিষয়টি নিয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব।’’
স্বপন বলেন, ‘‘ভোটে হার-জিত আছে। কিছু মানুষ আমাদের ভোট দেননি বলে হেরেছি। হতে পারে, কিছু খামতির জন্য এই ফল। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি।’’
জয়ের পরে কাকলি বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের। বিজেপির অত্যাচার মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি।’’
ভোট টানতে ব্যর্থ হয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ভোট, যা গত বারের তুলনায় কম। সেখানে প্রথম বার প্রার্থী হয়ে আইএসএফের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৪০ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন তিনি।