ইউসুপ পঠান এবং হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।
একবার বা দু’বার নয়, পর পর চার চার বার বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূলের ক্রিকেট তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে জেতানোর দায়িত্ব নিয়ে কথা বলে ছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই দাবি করেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। হুমায়ুন বলেন, “আমি কোনও দিনই দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করি না। তারপরেও আমার প্রসঙ্গে অনেকেই অনেক কথা বলেন। নেত্রীর নির্দেশ আমি সব সময় মেনে চলি, এ বারও সেটাই হয়েছে। দিদি বলেছিলেন ইউসুফ পাঠানকে জেতাতে হবে আমি পরিশ্রম করেছিল, ফলও পেয়েছি।”
বহরমপুর কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভার ফল দেখে হুমায়ুন যে এলাকার বাসিন্দা রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সব থেকে বেশি ভোট লিড পেয়েছেন ইউসুফ, এবং নিজের বিধানসভা ভরতপুর থেকে লিডটা কম নয়। রেজিনগর থেকে লিড পেয়েছে ৪২,১২৮টি ভোট ও ভরতপুর থেকে লিড পেয়েছে ১৮,৭৩০টি ভোট।
ইউসুফকে জয়ী করার জন্য হুমায়ুনের উপর ভর করেছিলেন বলে বারংবার দাবি করেছেন হুমায়ুন। এবার কি তাহলে দিদি হুমায়ুনকে কিছু ‘উপহার’ দেবেন? কী মনে করছেন হুমায়ুন! হুমায়ুন বলেন, “দিদি বাংলার মানুষের কাছে ভরসার বড় প্রতীক। তাই তিনি আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন আমি সেটা পালন করতে পেরেছি এটাই খুব। উনি আমাকে কী দেবেন আর কী দেবেন না সেটা একান্তই আমাদের নেত্রীর বিষয়।”
রেজিনগরের লিডের বিষয়ে তেমন ভাবে প্রকাশ্যে কোন কথা না বললেও নিজের বিধানসভা ভরতপুরে প্রায় ৫০ হাজার লিড পাবেন বলে দাবি করতে শোনা গিয়েছিল হুমায়ুনকে। কিন্তু ভোটের পর অবশ্য একান্ত সাক্ষাতে হুমায়ুন বলেন, “লিড ৫০ হাজার হত, কিন্তু ব্লক সভাপতি ও জেলা নেতৃত্ব আমাকে খুব একটা পাত্তা দেননি। আমার ছবি এলাকার টাঙানো হয়নি। অর্থনৈতিক ভাবেও ভরতপুরকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। সেখানে লিড কমে ৩৫ হাজার হবে।”
কিন্তু ভোটের ফলাফলে লিড হয়েছে ১৮,৭৩০। হুমায়ুন বলেন, “যোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত করা না হলে বহরমপুর থেকে ইউসুফ পাঠান অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতেন।”
হুমায়ুন বলেন, “জেলায় কিছু ব্লক সভাপতির পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। যারা দলটাকে নিজেদের জমিদারি ভেবে দল করছেন তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করা, দলের অন্দরে আত্মপক্ষ সমালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নাহলে অনেক ব্লক সভাপতি নিজেদের বুথেই লিড পাইনি, তারা ব্লকে কী লিড দেবে সেটা দলকে ভাবতে হবে।”