বিক্ষিপ্ত গোলমালে অভিযুক্ত শাসকদল
Post Poll Violence

বিরোধীদের বাড়িতে বোমাবাজি, হামলা

বুধবার রাতে আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি লেডিস বিউটি পার্লারের তালা ভেঙে ভিতরর জিনিসপত্র তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ১০:৩৪
Share:

ঘটনাস্থলে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইনসেটে চুরি যাওয়া ডিপ-টিউবওয়েলের ঘর।   গোঘাটের আসলহরি গ্রামে। 

ভোট ফল প্রকাশের পরে বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়াচ্ছে হুগলির আরামবাগ মহকুমায়। বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের হুমকির পাশাপাশি দোকান বন্ধ রাখার ফতোয়া, বাড়ির সামনে বোমাবাজি, ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তৃণমূল অভিযোগ
অস্বীকার করেছে।

Advertisement

বুধবার রাতে গোঘাটের আসলহরি গ্রামে বিজেপি সমর্থক আশিস ঘোষের বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। খেতে মিনি ডিপ-টিউবওয়েলের ঘর ভাঙচুর এবং যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আশিস। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং আধাসেনা যায়। আশিস বলেন, ‘‘গণনা মিটতেই তৃণমূলের ছেলেরা ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছিল। এটা তাদের কাজ বলে সন্দেহ।’’ পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।

গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের অভিযোগ, ‘‘আসলহরির সংশ্লিষ্ট ২৫১ বুথটিতে প্রচার ছাড়াই বিজেপি লিড পেয়েছে। এই জয়ের পিছনে আশিসের হাত আছে সন্দেহ করে তার ক্ষতি করা হল।’’ তৃণমূলের গোঘাট ১ ব্লক সভাপতি সঞ্জিত পাকিরার পাল্টা দাবি, ‘‘মিথ্যা আমাদের দলকে
জড়ানো হচ্ছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, বুধবার রাতে আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি লেডিস বিউটি পার্লারের তালা ভেঙে ভিতরর জিনিসপত্র তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পার্লারের সাইনবোর্ডও ভাঙা হয়। পার্লার মালিক সরস্বতী গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘আমি বা আমার স্বামীর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দেওর বিজেপি করে। সেই আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা বলে সন্দেহ। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। নিরাপত্তার দাবি করেছি।’’ পুলিশের বক্তব্য, তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরামবাগের চণ্ডীবাটিতে পাঁচ জন সিপিএম সমর্থকের ও গোঘাটের কামারপুকুরে দুই বিজেপি সমর্থকের দোকান বন্ধের এবং কৃষ্ণবল্লভপুরে সিপিএম কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুইনে তৃণমূল ও বিজেপির লোকেদের মধ্যে মারামারি হয়। থানায় কোনও পক্ষই অবশ্য অভিযোগ করেনি। জানা গিয়েছে, চণ্ডীবাটীতে বন্ধ করে দেওয়া তিনটি দোকান খোলা হয়েছে। বাকি তিনটিও খোলা হবে, এই আশ্বাস পেয়ে কোথাও অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কামারপুকুরে দু’টি দোকান বন্ধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছেন। কামারপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের রাজদীপ দে বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। দলের কেউ এমন অমানবিক কাজ করতে পারে না বলেই বিশ্বাস। দলের ছেলেদের পরিষ্কার বলেছি, কোনও অশান্তি বা ব্যবসায়ীদের রুটিরুজি বন্ধের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।’’ আজ, শুক্রবার তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দোকান খুলিয়ে দেবেন বলে প্রধান জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement