মালদহের হবিবপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে সবুজ আবির মাখাচ্ছেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রেজিনা মুর্মু। নিজস্ব চিত্র।
প্রথম দফা ভোট মেটার পরে, সে রাতে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ‘বিজয় উৎসব’ পালন করেছিল তৃণমূল। সে ‘ট্র্যাডিশন’ সামান্য বদলে বৃহস্পতিবার উত্তর মালদহে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলে ‘বিজয় উৎসব’ পালন করলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিলি করেন লাড্ডুও। এই ছবি দেখা গেল মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা হবিবপুরের দাল্লা বাজারে। প্রার্থীর উপস্থিতিতে ‘বিজয় উৎসব’ পালনকে ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে জেলায়। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
প্রসূন এ দিন বলেছেন, “ভোটের দিন বিকেলের পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় উত্তর মালদহে তৃণমূলের হাওয়া বয়েছে। তাই, এ দিন কর্মী-সমর্থকেরা সবাই মিলে আনন্দে মেতে উঠেছেন। উত্তর মালদহের সাতটি বিধানসভাতেই আমি যাব। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করব। কারণ, তাঁরা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন।”
গত ৭ মে ভোটের পর থেকেই মালদহের দু’টি লোকসভা আসনের ফল নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী শিবির। ফলের ১০ দিন আগে বিজেপির ‘গড়’ হিসাবে পরিচিত হবিবপুরের দাল্লা বাজারে গিয়ে উৎসবে মাতেন খোদ তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথমে ব্লক নেতৃত্ব, কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে, তাঁদের সঙ্গে সবুজ আবির খেলেন। পরে, বামনগোলার পাকুয়াতে গিয়েও আবির খেলেন তিনি। তৃণমূলের হবিবপুরের ব্লক সভাপতি কিস্টু মুর্মু বলেন, “২০১৯ সালে হবিবপুর থেকে বিজেপি ব্যাপক ভোটে এগিয়ে ছিল। এ বারে বিজেপিকে আমরা জোর টক্কর দিয়েছি। তাই, কর্মী, সমর্থকেরা আমাদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ তুলে বিজেপির উত্তর মালদহের প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, “পঞ্চায়েতের মতো তৃণমূল প্রশাসনের একাংশকে দিয়ে ভোট লুটের চেষ্টা করেছে। তবে তৃণমূল প্রার্থী এখনই বিজয় উৎসব পালন করে ঠিকই করছেন। কারণ, ৪ জুনের পরে তিনি বিজয় উৎসব করতে পারবেন না।” কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে বিডিওকে দিয়ে তৃণমূলের শংসাপত্র লেখানোর নজির রয়েছে। তৃণমূলের মাথায় রাখা উচিত, এটা লোকসভা ভোট। তৃণমূল প্রার্থী তিন নম্বরে থাকবেন।” পাল্টা প্রসূন বলেন, “বিরোধীরা ভয় পেয়ে এখন থেকেই গণনা কেন্দ্রে লুটের কথা বলতে শুরু করেছে।”