কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। —ফাইল চিত্র।
দলীয় প্রার্থী রাজু বিস্তাকে পছন্দ নয় কার্শিয়াঙের বিজেপির বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার (বিপি বজগাই)। তিনি ভূমিপুত্র প্রার্থীর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত জানিয়েছিলেন বলে দাবি। দল তাঁর কথা শোনেনি বলে অভিযোগ তুলে দার্জিলিং আসনে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন দিয়েছিলেন বিষ্ণু। রাজু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিষ্ণুকে দলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে লড়াইয়ে নামতে বলেছিলেন। বিষ্ণুর মনোনয়ন খারিজের দাবিও তুলেছিলেন তাঁরা।
শুক্রবার মনোনয়ন যাচাই হয়েছে। বিষ্ণুর মনোনয়ন খারিজ হয়নি। তার পরেই বিষ্ণু নেপালি ভাষায় তাঁর ইস্তাহার প্রকাশ করেন। সেখানে আলাদা রাজ্যের আশ্বাস, পাহাড়ের ১১ জনজাতির স্বীকৃতির কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড় এবং সমতলের আরও কিছু আশ্বাসের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বিষ্ণুর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি প্রার্থী হারের ভয় পাচ্ছেন। সে জন্য প্রার্থীপদ খারিজের আশায় বসেছিলেন।’’ বিষ্ণুর দাবি, তাঁর লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। পাহাড়ের মানুষের ভাবাবেগকে যাঁরা আঘাত করে ‘প্রতারণা’ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে। তিনি দলের মধ্যে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দলে লড়ছেন। আলাদা দলে তো যাননি, সে জন্য তাঁর মনোনয়ন খারিজের কোনও প্রসঙ্গও নেই বলে যুক্তি দিয়েছেন।
বিজেপি কেন বিষ্ণুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? দলীয় সূত্রে খবর, পাহাড়, সমতলে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘ক্ষিপ্ত’ দলের বিক্ষুদ্ধদের একাংশ। বিষ্ণু বিক্ষুদ্ধদের একাংশকে নিয়ে লড়াই করতে চাইছেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা রয়েছেন, ভোটের মুখে তাঁদের অন্য দলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। খোদ বিষ্ণুও যে অন্য দলে যাবেন না, তার নিশ্চয়তা নেই বলে দলের একাংশের দাবি।
এ দিন কালিম্পঙে রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘মুখে বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বললেও আমার মনে হয়, বিষ্ণু তৃণমূলকেই সমর্থন করছেন।’’ শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচনী নিয়মে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তবে দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টিতে নজর রাখছেন।’’ এর মধ্যে সমতলেও বিক্ষুদ্ধের একাংশের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন বিষ্ণু। তবে তাতে কত জন থাকছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।