মনোজ টিগ্গা। —ফাইল চিত্র।
তিন দিন আগেই লোকসভা নির্বাচনের গণনা নিয়ে কারচুপির আশঙ্কা করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর বৃহস্পতিবার সেই কারচুপির আশঙ্কায় আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুবর্ণ রায়কে গণনার কাজ থেকে বিরত রাখতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠালেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা।
গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয় পায় বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রের সাতটি আসনেই জয় পান গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। কিন্তু তার পরে পুরভোট বা পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় বড় ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল।
বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে কোনও ভোটই জেলায় হয়নি। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে দেখা গিয়েছে, জেলার অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ ‘গায়ের জোরে’ তৃণমূল প্রার্থীদের হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী বা জেলা সভাপতি মনোজের অভিযোগ, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে এই কারচুপির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ)। তৃণমূলের হারা প্রার্থীদের তিনি বেআইনি ভাবে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা শঙ্কিত, ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের গণনাতেও এই অতিরিক্ত জেলাশাসক কারচুপি করে তৃণমূলকে জয়ী করার চেষ্টা করবেন। সে জন্যই গোটা গণনা পর্ব থেকে ওঁকে বিরত রাখতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়েছি।”
বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সুবর্ণ ফোন ধরেননি। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক আর বিমলাও ফোন ধরেননি। দু’জনের এক জনও ‘এসএমএস’-এর জবাবও দেননি। তবে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে জেলার কোথাও কোনও কারচুপি হয়নি। জেলার বেশির ভাগ জায়গায় সাধারণ মানুষই বিজেপিকে প্রত্যাহার করেছে। লোকসভা নির্বাচনেও সেটা হতে চলেছে। আর সেই হতাশা থেকেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি।”