ভোট প্রচারে রচনা। নিজস্ব চিত্র।
দলীয় প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বুধবার বলাগড়ে জনসভা করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখানকার ভাঙন নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করলেন না। দিন কয়েক আগে বলাগড় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, ভাঙন রোধে ‘বলাগড় মাস্টার প্ল্যানের’ আর্জি জানিয়ে ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি আবেদনপত্র তুলে দেবেন। কিন্তু এমন কোনও চিঠি তাঁদের দিতে দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রীকে।
ভাঙনপ্রবণ এলাকার মানুষ গঙ্গার মতিগতি নিয়ে তটস্থ। তাঁদের অনেকে ভেবেছিলেন, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভাঙন সমস্যার কথা উঠবে। কিন্তু তা না হওয়ায় তাঁরা হতাশ। বলাগড়বাসী চান, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে ভাঙন রোধে পাকাপাকি কাজ হোক। কিন্তু তার কোনও দিশা এখনও পর্যন্ত বিশেষ দেখা যায়নি।
তৃণমূল এখন বলছে, ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করবে। বলাগড় ব্লকের নির্বাচন কমিটির আহবায়ক তথা ডুমুরদহ ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিদিকে (মুখ্যমন্ত্রী) আবেদনপত্র দিয়ে উঠতে পারিনি। নির্বাচনের পরে এ নিয়ে দিদির শরণাপন্ন হব।’’ বৃহস্পতিবার ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় রোড শো করেন রচনা। প্রশ্নের জবাবে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘গঙ্গার ভাঙন নিয়ে দিদি সব সময় বলছেন। উনি গঙ্গার ভাঙন নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছেন।’’ বলাগড়বাসী থেকে প্রশাসনের লোকজন অবশ্য বলছেন, পাকাপাকি ভাবে ওই কাজ আদপেই শুরু হয়নি।
এ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপি নেতা স্বপন পালের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল আসলে নিজেদের দলের ভাঙন সামলাতে ব্যস্ত। তাই গঙ্গা ভাঙনের দিকে নজর নেই।’’ রচনার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী তথা হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ভাঙন সমস্যা মোকাবিলার কাজে কেন্দ্রের টাকা ফেরত গিয়েছে। তা ছাড়া এ ব্যাপারে সংসদে তাঁকে বলতে বাধা দেন তৃণমূলের সাংসদরা।