মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা, পাশে প্রার্থী জুন মালিয়া। নিজস্ব চিত্র।
শুরু থেকেই অস্বস্তি ধরা পড়ছিল। চেনা মেজাজটাও উধাও। বারবার বদল হয়েছে পদযাত্রার রুট। স্বাভাবিক ভাবে পথের দু’ধারে চেনা সেই ভিড়টাও তেমন নেই। সোমবার বিকেলে মেদিনীপুরে শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই থমকাল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা।
মমতার পাশেই ছিলেন দলের প্রার্থী জুন মালিয়া। কালেক্টরেট মোড়ে পদযাত্রা থমকানোর পর জুনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল তাঁকে। অদূরে ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, দলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়। জুনের সঙ্গে কথা বলার পর সুজয়কে ডেকে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। সামান্য কিছুক্ষণের অপেক্ষা। পিছনে যে ‘ভিড়’ অনেকটা দূরে ছিল, সেটা কাছে এগিয়ে এল। সেই ‘ভিড়ে’ থাকা কিছু লোকজন গেলেন রাস্তার দু’পাশে। ফের হাঁটতে শুরু করলেন মমতা। লোকসভা, বিধানসভার মতো ভোটের আগে আগে মেদিনীপুরে এসে পদযাত্রা করেনই তৃণমূলনেত্রী। এর আগে কবে তাঁকে এ ভাবে মাঝপথে থমকাতে হয়েছিল, মনে করতে পারছেন না তৃণমূলেরই অনেকে।
কেন এমন হল? শহরে তৃণমূলের কোন্দল রয়েছে। সেই কোন্দলেরই কি প্রভাব পড়ল পদযাত্রায়, না কি সমন্বয়ের অভাব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে, চর্চা শুরু হয়েছে। দলের কেউ কেউ এর পিছনে অন্তর্ঘাত দেখছেন! তাঁদের অনুযোগ, পদযাত্রা যাতে জৌলুসহীন হয়, তলে তলে সেই চেষ্টা করেছে দলেরই একটি গোষ্ঠী! তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, পদযাত্রা সফল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে মানুষের ভিড় ও উৎসাহ ছিল নজরে পড়ার মতো! দলনেত্রী যে পদযাত্রা শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই হাঁটতে হাঁটতে আচমকা দাঁড়িয়ে গেলেন? ভিড় তেমন ছিল না বলেই তো? তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয়ের দাবি, ‘‘ভিড় ভালই ছিল। শুরুতে লোকেদের আটকে দিয়েছিল পিছনে। পরে লোকজন সামনে এসেছে।’’