—প্রতীকী চিত্র।
জঙ্গিপুর লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাজাহান বিশ্বাস রীতিমত হইচই বাঁধিয়ে বসেছেন জেলায়। সাজাহান তৃণমূলের সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা। পেশায় বিড়ি মালিক ও শিল্পপতি সাজাহান এর আগে কখনও দাঁড়াননি কোনও ভোটে। আইএসএফের প্রতীকে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জীবনের প্রথম বারের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কার্যত তৃণমূলের জেতার পথে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এ বারে। অষ্টম শ্রেণি পাশ, সুতির শিল্পপতি সাজাহান বিশ্বাসের স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৮ কোটি টাকার। পরিবারে সোনা রয়েছে আড়াই কিলোর কিছু বেশি। গত বছর আয়কর দিয়েছেন প্রায় দেড় কোটি টাকার সামান্য বেশি। সাজাহানের ভাই ইমানি বিশ্বাসের স্ত্রী সুতি ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তাঁর ভ্রাতৃবধূ রুবিয়া সুলতানা জেলা পরিষদের সভাধিপতি।
সাজাহান কখনও সরাসরি রাজনীতি না করলেও একাধিক বার তৃণমূল ও কংগ্রেসের মঞ্চে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সাজাহান ঠিকাদার হিসেবে সাগরদিঘি কলেজ তৈরি করেছেন, রঘুনাথগঞ্জে প্রণববাবুর বাড়িটিও তাঁর হাতে তৈরি। ভোট এলেই বহু বার বিভিন্ন দলের প্রার্থী হিসেবে হাওয়ায় ভেসেছে সাজাহানের নাম। কিন্তু শিকে ছেঁড়েনি। এ বার কংগ্রেস শিবিরেও উঠেছিল সাজাহানের নাম। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে আইএসএফ। ইতিমধ্যেই নৌসাদ সিদ্দিকী তাঁর হয়ে জঙ্গিপুরে সভাও করে গেছেন।
সাজাহানের দাবি, “আমি কাজ করব দিল্লিতে। রাজ্য নিয়ে আমার কোনও লড়াই নেই, লড়াই দিল্লিতে।” ইমানি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, “দাদা হলেও সাজাহান আলাদা থাকেন। কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই আমাদের মধ্যে। তাই বলতে পারি সুতিতে অন্তত ১৫ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকবে তৃণমূল।” তৃণমূলের প্রার্থী খলিলুর রহমান বলছেন, “দাঁড়িয়েছেন যখন, তখন ভোট তো কিছু পাবেনই তবে তা হাতে গোনা। তাই খুব একটা গুরত্ব দিচ্ছি না আইএসএফকে।”