আলিপুরদুয়ার জংশন শিববাড়ি এলাকায় একটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় মোতায়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী। নারায়ন দে।
ভোটকর্মীরা পৌঁছনোর আগেই বহু বুথে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি শহরের উমাগতি বিদ্যামন্দিরে গত পুরভোটে ব্যাপক ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। সেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রে গত পুরভোটেই ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সে বুথেও বাহিনী পৌঁছল আগে। আনন্দ মডেল স্কুলে দিন তিনেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। জলপাইগুড়ি হাইস্কুলেও আগে থেকে বাহিনী পৌঁছেছে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফে অন্তত ৩৯১টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে গত পুরভোট, পঞ্চায়েত এবং অতীতের লোকসভা-বিধানসভা ভোটে যেখানে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল, সে বুথগুলিও রয়েছে। ঘটনাচক্রে, অতীতে গোলমাল বা হিংসার অভিযোগ রয়েছে, এমন বহু বুথে আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকেছে এ দিন বা দু’-এক দিন আগেই। এ দিন দুপুরে ভোটকর্মীরা ইভিএম নিয়ে পৌঁছনোর পরে, ভোটকেন্দ্রে ঢোকা-বের হওয়া নিয়েও কড়া বাহিনী। চার থেকে আট জন করে বাহিনীর জওয়ান থাকছেন বুথে। জলপাগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, “আগে স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এ বার সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। লাইন ঠিক রাখার জন্য রাজ্য পুলিশ থাকছে। টহলদারির জন্যও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে।” সব বুথেই ওয়েবকাস্টিং তথা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ‘লাইভ’ দেখানো হবে। কিছু বুথে ক্যামেরার সঙ্গে বসেছে সেন্সর যন্ত্রও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোট দেওয়ার ঘরে ঢুকলেই ক্যামেরার সঙ্গে লাগানো সেন্সর সক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। ক্যামেরায় লাগানো যন্ত্র থেকে সেন্সর চালু হওয়ার ঘোষণা করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যন্ত্রটি দেখবে, ঘরে কত জন উপস্থিত রয়েছেন। সুষ্ঠু ভাবে ভোট নেওয়ার জন্য যত জন থাকার কথা তার থেকে বেশি হলে সেন্সর বিপদসঙ্কেত পাঠাবে জেলা ও কমিশনের কন্ট্রোল রুমে।